Shani Mahadasha Remedies: শনির অশুভ প্রভাবে জর্জরিত? জেনে নিন ৫টি অব্যর্থ প্রতিকার, মুক্তি মিলবে শনি মহাদশা থেকে!

শনিদেবকে ন্যায় ও কর্মের দেবতা বলা হয়। তিনি মানুষকে তাদের কর্ম অনুসারে ফল দেন। যখন শনি ক্রমাগত খারাপ ফল দিতে থাকেন এবং কোনো প্রতিকারই কাজে আসে না, তখন কী করা উচিত? আসুন জেনে নিই শাস্ত্র অনুসারে বর্ণিত কিছু সঠিক ও কার্যকরী প্রতিকার।

যাদের কুষ্ঠীতে শনির অবস্থান খারাপ থাকে অথবা শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া চলে, তাদের জীবনে বারবার সমস্যা আসে। শনির গ্রহদশা খারাপ হলে মানসিক চাপ, শারীরিক পরিশ্রম, আর্থিক ক্ষতি এবং অপমানের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, যখন শনি ক্রমাগত খারাপ ফল দিতে থাকেন এবং কোনো প্রতিকারই কাজে না আসে, তখন কী করা উচিত? আসুন শাস্ত্র অনুসারে বর্ণিত সঠিক ও উপকারী প্রতিকারগুলি জানুন...

শনির অশুভ প্রভাবের লক্ষণ: জীবনে বারবার সমস্যার আগমন। কোর্ট-কাচারির মামলায় বিলম্ব হওয়া। পারিবারিক কলহ-ক্লেশ বৃদ্ধি এবং সম্পর্কে তিক্ততা আসা। ক্রমাগত আর্থিক ক্ষতি এবং চাকরিতে বাধা আসা। শনি প্রভাবিত হলে আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারগুলি জানুন...

হনুমানজির পূজা: যাদের কোষ্ঠীতে শনি গ্রহ প্রভাবিত হয়, তাদের হনুমানজির পূজা করা উচিত। নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করলে শনির মহাদশা থেকে মুক্তি মেলে।

নিয়মিত শনি আরাধনা: শনির গ্রহদশা খারাপ হলে শনিদেবের পূজা করা অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি প্রতিদিন "ওঁ শং শনৈশ্চরায় নমঃ" মন্ত্র জপ করলেও গ্রহদশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কালো তিল ও লোহা দান: শনির দশা থেকে মুক্তি পেতে শনিবার কালো তিল, কালো কাপড় বা লোহার বাসন দান করাও শুভ। শনিদেবের সর্ষের তেল খুব প্রিয়, তাই প্রতি শনিবার সর্ষের তেল অর্পণ করলে সব ধরনের দোষ দূর হয়।

নীলম রত্ন পরার আগে কুষ্ঠী দেখান: শনির সাড়ে সাতি, ঢাইয়া এবং মহাদশা থেকে মুক্তি পেতে নীলম রত্ন পরা শুভ। কিন্তু কোনো জ্যোতিষীর পরামর্শ ছাড়া এটি পরা অশুভ হতে পারে। তাই জ্যোতিষাচার্যের পরামর্শ নিয়েই এটি ধারণ করুন।

শনি মন্দিরে দীপ দিন: প্রতি শনিবার অশ্বত্থ গাছের নিচে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অযোধ্যার জ্যোতিষ কল্কী রাম বলেছেন, "অনেকে শনিকে ভয় পান, কিন্তু শনিদেব প্রকৃতপক্ষে ন্যায় ও কর্মের দেবতা। তিনি আমাদের কর্মের ফল দেন। যখন কুষ্ঠীতে শনির দশা অশুভ ফল দেয়, তখন ধৈর্য এবং সঠিক প্রতিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ, 'ওঁ শং শনৈশ্চরায় নমঃ' মন্ত্র জপ, শনিবার কালো তিল, সর্ষের তেল বা লোহা দান করার মতো শাস্ত্রোক্ত উপায়গুলো শনির কুপিত প্রভাব কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী।"

ডিসক্লেইমার - উপরের বিষয়গুলি মানতেই হবে এমন কোনও বিষয় নেই৷ কোনও সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷ কিছু হলে নিউজ 18 বাংলা কোনওভাবেই দায়ি থাকবে না৷