Sawan 2021: শ্রাবণ মাসে মেনে চলুন এই ৭ পন্থা, ভাগ্যদোষ থেকে মুক্তির সহজ উপায় রয়েছে হাতের কাছেই

হিন্দু শাস্ত্রে এবং জ্যোতিষে শ্রাবণ মাস অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কিংবদন্তি অনুযায়ী এই মাসেই দেবাসুরের সমুদ্র মন্থন থেকে উঠে আসা কালকূট বিষ পান করে সৃষ্টিকে রক্ষা করেছিলেন ভগবান শিব। ঠিক একই ভাবে যখন দুর্ভাগ্য বিষের ধোঁওয়ার মতো জীবনকে আচ্ছন্ন করে তোলে, তার হাত থেকেও পরিত্রাণ মেলে ভূতভাবন ভূতনাথের কৃপাতেই। এই লক্ষ্যে শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের বিশেষ পূজাভিষেক কর্তব্য। পাশাপাশি ভাগ্যদোষ থেকে মুক্তির জন্য সারা শ্রাবণ মাস জুড়ে জ্যোতিষমতে আরও কী কর্তব্য তা দেখে নেওয়া যাক!

দুর্ভাগ্য থেকে নিষ্কৃতি পেতে গৃহে স্থাপন করতে পারেন একটি সিদ্ধ পারদ শিবলিঙ্গ, নিত্য, বিশেষ করে সারা শ্রাবণ মাস 'ওম নমঃ শিবায়' মহামন্ত্রে তার যথাবিহিত পূজায় সুফল মেলে।

আর্থিক দিক থেকে সমর্থ হলে সিদ্ধ পারদ শিবলিঙ্গের সঙ্গে একটি পারদ শ্রীযন্ত্র স্থাপন এবং তার নিত্য আরাধনাতেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় বলে জানায় জ্যোতিষশাস্ত্র।

শিবের প্রসাধন রুদ্রাক্ষ, তাই শ্রাবণ মাসে রুদ্রাক্ষের মালা, কবচ ধারণ করলে ভক্তের প্রতি দেবাদিদেব প্রসন্ন হন।

শ্রাবণ মাসে মহামৃত্যুঞ্জয় পূজা বিশেষ পুণ্যফলদায়ক। তবে এই পূজা ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে বাজার থেকে একটি মহামৃত্যুঞ্জয় লকেট কিনে এনেও পরা যায়। মনে রাখতে হবে যে তা পরার আগে একটি প্রদীপ জ্বেলে শিবলিঙ্গের সামনে তিন ঘণ্টা নিরন্তর মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে হবে, একমাত্র তার পরেই ওই লকেট ধারণ করা যাবে।

সারা শ্রাবণ মাস যদি আখের রস বা শর্করা মিশ্রিত জলে শিবলিঙ্গের অভিষেক করা যায়, তাহলে মঙ্গল বা ভৌম দোষ থেকে নিষ্কৃতি মেলে, একথা জানাচ্ছে জ্যোতিষশাস্ত্র।

শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক দিন শিবপুরাণ পাঠে ভাগ্যবিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে, কাউকে শিবপুরাণ দানও মহাপুণ্যফল রূপে গণ্য করা হয়।

শুধু শ্রাবণ মাসের সোমবারে নয়, বরং এই মাসব্যাপী প্রত্যেক দিনেই নারকেল জলে শিবলিঙ্গের অভিষেক কর্তব্য, পাশাপাশি শিবমন্দিরে নারকেলদান শাস্ত্রমতে বিধেয়, এই রীতি পালন করতে পারলে দুর্ভাগ্য জীবনে প্রবেশ করতে পারে না।