শীতকালে গোপালকে কীভাবে পুজো করলে মিলবে বিশেষ আশীর্বাদ? জানুন সহজ বিধি

হিন্দু শাস্ত্রে নাড়ু গোপাল বা লাড্ডু গোপাল অত্যন্ত পূজ্য। শ্রীকৃষ্ণের শৈশব রূপ হিসেবেই তাঁকে গোপাল নামে পুজো করা হয়।

এই প্রসঙ্গে জ্যোতিষী হিতেন্দ্র কুমার জানান, বিশ্বাস করা হয়—বাড়িতে গোপালের প্রতিষ্ঠা ও নিয়মিত আরাধনা সংসারে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য ডেকে আনে। যাঁরা গোপালের সেবা করেন, তাঁদের জীবন থেকে সংকট দূরে থাকে, এবং পরিবারের ওপর থাকে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি।

গোপালের দৈনন্দিন সেবা—কেন এত গুরুত্বপূর্ণগোপালকে দেবতা হিসেবে যেমন মানা হয়, তেমনই তাঁকে বাড়ির ছোট ছেলের মতো স্নেহে-যত্নে দেখভাল করাটাই মূল রীতি। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সেবা-বিধিতেও কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। শীতকালে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হয় তাঁর আহার, পোশাক ও আরাম-আয়েশের দিকে।

গোপালের দৈনন্দিন সেবা—কেন এত গুরুত্বপূর্ণগোপালকে দেবতা হিসেবে যেমন মানা হয়, তেমনই তাঁকে বাড়ির ছোট ছেলের মতো স্নেহে-যত্নে দেখভাল করাটাই মূল রীতি। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সেবা-বিধিতেও কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। শীতকালে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হয় তাঁর আহার, পোশাক ও আরাম-আয়েশের দিকে।

শীতে গোপালের পুজো ও সেবার বিশেষ নিয়মপ্রতিদিন গরম দুধ নিবেদন করুনশীতের দিনে নাড়ু গোপালকে রোজ সামান্য গরম দুধ দেওয়া অত্যন্ত শুভ। দুধে যদি একটু হলুদ ও কেশর মেশান, তা হলে আরও তুষ্ট হন গোপাল। শীতকালে এই মিশ্রিত দুধ তাঁর কাছে অত্যন্ত প্রিয় বলে মানা হয়।

নাড়ু অবশ্যই দিন ভোগেএই সময়ে গোপালকে নাড়ু নিবেদন বিশেষ শুভ। অন্তত দিনে একবার ভোগের সঙ্গে নাড়ু দিতে ভুলবেন না। শীতের ভোগে নাড়ু গোপাল খুব সহজেই খুশি হন বলে প্রচলিত বিশ্বাস।

হলুদ রঙের পোশাক ও ফুলে সজ্জাহলুদ রং শ্রীবিষ্ণুর প্রিয়। তাই বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণ তথা গোপালেরও অত্যন্ত প্রিয় রং হল হলুদ।শীতের সময় গোপালকে

মোহনভোগ নিবেদন অত্যন্ত শুভশীতের সময়ে গোপালকে মোহনভোগ দিলে শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বিশ্বাস—এই ভোগ গ্রহণে জীবনের নানা সমস্যা দূর হয়ে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।

শীতে গোপালকে উষ্ণ পোশাক পরিয়ে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি।খেয়াল রাখবেন তাঁর বিছানা যেন উষ্ণ হয়প্রতিদিন হালকা গরম জলে স্নান করান। রাত্রে মোটা কাপড়ে ঢেকে রাখুন। কারণ গোপালকে পরিবারের শিশু সদস্যের মতোই যত্ন করতে হয়।