Buddha Purnima 2025: বুদ্ধ পূর্ণিমায় অতি বিরল কাকতালীয় যোগ...! শুভক্ষণ শুরু, আর কতক্ষণ থাকবে পূর্ণিমা তিথি? জানুন কখন পুজো করলে খুলবে ভাগ্যের দরজা

হিন্দু ধর্মে বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং এই শুভ উৎসব ১২ মে অর্থাৎ আজ। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার গৌতম বুদ্ধ এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই বৈশাখ পূর্ণিমাকে বুদ্ধ পূর্ণিমাও বলা হয়।

বৈশাখ পূর্ণিমায় বুদ্ধের জন্ম কেবল নয়, তিনি এই দিনে জ্ঞানলাভ এবং মহাপরিনির্বাণও লাভ করেছিলেন। আসুন জেনে নিই বুদ্ধ পূর্ণিমার গুরুত্ব, পূজার পদ্ধতি এবং কেন এই উৎসব পালিত হয়।

আজ ভগবান বুদ্ধের ২৫৮৭তম জন্মবার্ষিকী। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, সারা বিশ্বের বৌদ্ধরা বোধগয়ায় সমবেত হন এবং বোধিবৃক্ষের পূজা করেন। সমস্ত আরাম-আয়েশ এবং ঘরবাড়ি ত্যাগ করার পর, রাজপুত্র সিদ্ধার্থ সত্যের সন্ধানে সাত বছর ধরে বন থেকে বনে ঘুরে বেড়ান। রাজপুত্র তপস্বী জীবন যাপন করেন এবং কঠোর তপস্যা করেন।

অবশেষে, বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে, তিনি বোধগয়া গাছের নীচে বোধি লাভ করেন এবং রাজকুমার সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ হন। ভগবান বুদ্ধ যখন চোখ খুললেন, তখন তিনি ক্ষীর পান করে উপবাস ভাঙলেন, তাই এই দিনে বাড়িতে ক্ষীর তৈরির ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল। এছাড়াও আজ, ভগবান বুদ্ধকে ক্ষীর প্রসাদ নিবেদন করা হয়।

পূর্ণিমা তিথির শুরু - ১১ মে, সন্ধ্যা ৬:৫৫ টা থেকে,পূর্ণিমা তিথির শেষ - ১২ মে, সন্ধ্যা ৭:২২ টায়,উদিয়া তিথি- ১২ মে সোমবার, অর্থাৎ আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব পালিত হবে। বুদ্ধ পূর্ণিমা পূজার মুহুর্ত – আজ সকাল ১১:৫১ থেকে দুপুর ১২:৪৫ পর্যন্ত।

বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনটিকে অনেক কারণেই বিশেষ বলে মনে করা হয়। এই দিনটি ভগবান বুদ্ধের জন্ম, তাঁর সত্যের জ্ঞানার্জন এবং তাঁর মহাপরিনির্বাণ হিসাবে পালিত হয়। গৌতম বুদ্ধ বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং এই দিনে তিনি জ্ঞানলাভ করেছিলেন। এছাড়াও, বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে কুশীনগরে গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ ঘটেছিল।

এই দিনে, ভগবান বুদ্ধের অনুসারীরা ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা শোনেন এবং তাঁর পথ অনুসরণ করার অঙ্গীকারও গ্রহণ করেন। এছাড়াও, এই দিনে ক্ষীরও দেওয়া হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে মানসিক শান্তি আসে এবং ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ চারপাশে বজায় থাকে। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে ভগবান বিষ্ণু এবং চন্দ্র দেবতার পূজা করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব কেবল ভারতেই নয়, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ইত্যাদি অনেক দেশেও মহা জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। এই শুভ উপলক্ষে ভগবান বুদ্ধের পূজা করা হয়। বুদ্ধ পূর্ণিমা, বুদ্ধ জয়ন্তী, এবং বৈশাখ পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে জলভর্তি হাঁড়ি, পাখা, ছাতা, জুতা, চপ্পল, ছাতু ইত্যাদি দান করা বিশেষ পুণ্যের কাজ বলে মনে করা হয়। এই দিনে, বৌদ্ধ মন্দিরগুলিতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং ধ্যান, ধর্মোপদেশ এবং দানশীলতার কাজও করা হয়। এই দিন ছাড়াও সন্ন্যাসীদের সেমিনার ইত্যাদি ধর্মীয় কার্যকলাপও করা হয়।