Astrology Tips: বাড়ির আশাপাশেই থাকে বাঁশ, তবে কেন পোড়াতে নেই? জ্যোতিষী জানালেন অবাক করা গূঢ় রহস্য! না জানলেই হবে বড় ভুল

বাড়ে তাড়াতাড়ি, থাকেও হাতের কাছেই। জ্বালানি হিসেবে তাহলে বাঁশ কেন পোড়ানো হয় না?

আসলে এ এমন এক গাছ, যা থাকে মানুষের আবাসস্থলের কাছেই। তাও জ্বালানির খোঁজে মানুষ যায় বাড়ি থেকে দূরে জঙ্গলে, কুড়িয়ে আনে কাঠকুটো। এখনও গ্রামের দিকে গেলে দেখা যায় মহিলারা মাথায় করে জঙ্গল থেকে কাঠ বয়ে নিয়ে আসছেন।

অথচ, বাঁশ পোড়ানো হয় না। কেন, সে কথা আমাদের ব্যাখ্যা করে বলেছেন পালওয়ালের প্রখ্যাত জ্যোতিষী ড. অঞ্জলি জৈন।

সবার আগে এক্ষেত্রে উঠে আসবে ধর্মীয় অনুষঙ্গ। বাঁশ থেকেই যে তৈরি হয় বাঁশি, যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাতের ভূষণ। সে কারণেই সনাতন হিন্দু ধর্মে বাঁশ পোড়ানো নিষিদ্ধ।

তবে, শুধুই এখানে ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ নয়। বাঁশ আদতে আমাদের হিন্দু সভ্যতার সঙ্গে নানা দিক থেকে জড়িত। যার কিছু কারণ আধ্যাত্মিক, কিছু আবার ব্যবহারিকও বটে।

যেমন, বিয়ের মণ্ডপ তৈরি হয় বাঁশ দিয়ে। পুজোর মণ্ডপের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। বাঁশ চেঁছে বানানো হয় মাটির দেববিগ্রহের কাঠামো।

আবার, মৃত্যুর পরে দেহ অন্ত্যেষ্টির জন্য বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশে করেই। ফলে, বলাই যায় যে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অনেক আধ্যাত্মিক বিষয়েই বাঁশ আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জড়িত।

এবার আসা যাক ব্যবহারিক দিকে। প্রাচীনকাল থেকে এখনও পর্যন্ত বাড়ি তৈরিতে বাঁশ লাগে। অনেক জায়গায় বাসনকোসনও তৈরি হয় এই বাঁশ থেকেই। এত কাজে লাগে বলেই তা পুড়িয়ে ধ্বংস না করার প্রথা প্রচলিত হয়েছে।

ড. জৈন এ প্রসঙ্গে বাঁশ না পোড়ানোর ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। জ্যোতিষ মতে, বাঁশ পোড়ালে পিতৃদোষে দুষ্ট হতে হয় এবং বংশ নাশ পায়। এ কারণে, এমনকী যজ্ঞাদিতেও বাঁশ পোড়ানো হিন্দু ধর্মে নিষিদ্ধ।