Jyeshtha Purnima: এটাই আসল 'মাহেন্দ্রক্ষণ'...! বছরে একবারই আসবে এই দিন! জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় করুন ছোট্ট কাজ, কাটবে আর্থিক সঙ্কট, খুলবে ভাগ্যের বন্ধ দরজা

পূর্ণিমা তিথিকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু এবং চন্দ্র দেবের পূজা ও আরাধনা করার রীতি রয়েছে। পূর্ণিমা তিথির দিনে মানুষ গঙ্গা-সহ পবিত্র নদীতে স্নান ও দান করে।

জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা অত্যন্ত শুভ। বলা হয় যে এই দিনে চন্দ্র দেব তাঁর ১৬টি কলায় পরিপূর্ণ। তাঁর রশ্মি পৃথিবীতে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য প্রদান করে। এই দিনে স্নান ও দান করলে পুণ্য আসে। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুকে সন্তুষ্ট করার কিছু সহজ উপায়ও রয়েছে। তাদের সাহায্যে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।

অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম জানান যে বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথি ১০ জুন রাত ১১:৩৫ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে। এটি ১১ জুন দুপুর ১:১৩ মিনিটে শেষ হবে।

উদয় তিথি অনুসারে, ১১ জুন পূর্ণিমা তিথির উপবাস পালন করা হবে। এই দিনে যথাযথ আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভগবান চন্দ্র দেব এবং ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে বহুগুণ বেশি ফল পাওয়া যায়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুকে খুশি করার জন্য কিছু অভ্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

পণ্ডিত কল্কি রাম বলেন, যদি আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার দিন জলে দুধ মিশিয়ে অশ্বত্থ গাছের নীচে অর্পণ করুন। এটি করলে আপনি ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ পাবেন এবং আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পাবেন।

যদি আপনি আপনার জীবনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করতে চান, তাহলে পূর্ণিমা তিথির দিন চন্দ্র দেবের পূজা করুন। এই দিনে জলে দুধ, মধু এবং চন্দন মিশিয়ে চন্দ্র দেবকে অর্ঘ্য অর্পণ করুন।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে,এটি করলে ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। যদি আপনি কুণ্ডলীতে চন্দ্র দোষ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে পূর্ণিমা তিথির দিন গঙ্গাজলে দুধ মিশিয়ে ভগবান শিবকে অর্পণ করুন। এটি করলে কুণ্ডলী থেকে চন্দ্র দোষের সমস্যা দূর হয়।