Astro Tips: মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করুন এই ৫ রকমের ভোগ! জীবনে কখনও সুখ শান্তির অভাব হবে না...

পৌষ পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তিথি। এই দিনটি মা লক্ষ্মীর পূজা এবং সমৃদ্ধি লাভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের পরিবেশকে পবিত্র করতে এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে এই দিনে নানা ধরনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করা হয়। পৌষ পূর্ণিমার দিনে মা লক্ষ্মীকে ভোগ নিবেদনের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এটি সুখ-সমৃদ্ধি এবং ঐশ্বর্য লাভের প্রতীক বলে মনে করা হয়।

ক্ষীর: মা লক্ষ্মীর প্রিয় ভোগমা লক্ষ্মীকে ক্ষীর নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, বিশেষত যদি তাতে জাফরান বা মেওয়া মেশানো থাকে।

ক্ষীরকে সমৃদ্ধি এবং সুখের প্রতীক বলা হয়। পৌষ পূর্ণিমার দিনে ক্ষীর নিবেদন করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং ঘরে সুখ-শান্তি বিরাজ করে।

গোলা: ইতিবাচক শক্তির উৎসগোলা, যা নারকেল থেকে তৈরি, মা লক্ষ্মীকে নিবেদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত পাঞ্জিরি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তবে এর সঙ্গে আরও মিষ্টান্ন তৈরি করা যায়। গোলা নিবেদন করলে ঘরের নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

লাড্ডু: সমৃদ্ধির প্রতীকপৌষ পূর্ণিমার দিনে তিলের লাড্ডু বা গুঁড়ের লাড্ডু নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, তিল এবং গুঁড়ের প্রভাবে ঘরে আর্থিক সমৃদ্ধি আসে এবং আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এই দিন লাড্ডু নিবেদন করলে ঘরে আর্থিক সমস্যার সমাধান হয়।

রাবড়ি: চন্দ্রের কৃপারাবড়িও মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করা যায়। রাবড়ি চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি সাদা রঙের হয়, যা শান্তি এবং সুখের প্রতীক। রাবড়ি নিবেদন করলে পরিবারের মধ্যে শান্তি বিরাজ করে এবং সম্পর্কের মধুরতা বজায় থাকে।

হালুয়া: দাম্পত্য জীবনে সুখের প্রতীকহালুয়া, তা গাজরের, সুজির বা আটার যেকোনো হোক, মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করার জন্য একটি ভালো পছন্দ। বিশেষত যদি স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে এটি নিবেদন করেন, তবে এটি দাম্পত্য জীবনকে সুখী এবং শক্তিশালী করে তোলে। এই দিন হালুয়া নিবেদন করলে দাম্পত্য জীবনে সমন্বয় বজায় থাকে এবং সম্পর্ক গভীর হয়।

ডিসক্লেইমার - উপরের বিষয়গুলি মানতেই হবে এমন কোনও বিষয় নেই৷ কোনও সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷ কিছু হলে নিউজ 18 বাংলা কোনওভাবেই দায়ি থাকবে না৷