ঘটনাটি অশোকনগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয় সংঘ এলাকার৷ তুহিন বেসরকারি সংস্থায় অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন। বছর খানেক ধরে হাবড়ার হিজলপুকুর এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তুহিন৷ কয়েক সপ্তাহ ধরে সম্পর্কে নানা টানাপোড়েন চলছিল৷ ঙ্গলবার সকালে অনেক ডাকা ডাকি করার পরেও তুহিন দরজা না খোলাতে সন্দেহ হয় পরিবারের। দরজা ভেঙে দেখা যায় সিলিং ফ্যানে ঝুলছে তুহিনের দেহ৷ অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তুহিনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷
advertisement
তুহিনের মা ও দিদির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তুহিনকে টাকা পয়সা ও বিয়ের চাপ দিচ্ছিল ওই গৃহবধূ। সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত দুজনের মধ্যে কথা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, তুহিনের মোবাইল ঘেঁটে এমনটাই জানিয়েছেন তার এক দিদি। মৃত্যুর আগে পাখার সাথে গলায় দড়ি দিয়ে সেলফি তুলে ওই মহিলাকে পাঠানো হয়। তুহিনের পরিবারের অভিযোগ, ওই রকম ছবি দেখেও কেন তুহিনের পরিবারকে জানাল না মহিলা৷ মহিলার মানসিক চাপের জন্যই তুহিনের আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।
কিন্তু তুহিনের বাবা দয়ালশঙ্কর দুবে জানান, তার ছেলে তো মারা গেছে৷ যা হবার তো হয়েই গেছে৷ আর অভিযোগ করে আর একটি পরিবার ধ্বংস করে কী হবে৷