বল ক্লিয়ারের সময় ডিফেন্ডারদের ভুল যেন থামছে না। ক্লিয়ারিংয়ের গণ্ডগোলে হেরে যাচ্ছে তাদের টিম। ১৯ জুন পর্যন্ত রাশিয়া বিশ্বকাপে হয়েছে ১৭টি ম্যাচ। গোল হয়েছে ৪২টি। এর মধ্যে ৫টি আত্মঘাতী। এর আগে সবথেকে বেশি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল ১৯৯৮-এ ফ্রান্স বিশ্বকাপে। সেবার ৬টি আত্মঘাতী গোলই দেখা গিয়েছিল ৷ এবছর বিশ্বকাপ শুরু হতে না হতেই সেই রেকর্ড ছুঁতে চলেছে টিমগুলি ৷
advertisement
এখনও গ্রুপের খেলা শেষ হয়নি। ডিফেন্ডারদের যা ফর্ম তাতে ১৯৯৮ এর রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার শুরুটা করেছিলেন মরক্কোর আজিজ বউহাডৌজ। ইরানের বিরুদ্ধে তাঁর আত্মঘাতী গোলে হেরে যায় মরক্কো। ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে লজ্জার নায়ক অজি ডিফেন্ডার আজিজ বেহিচ। পোগবার শট তার পায়ে লেগে গোলে ঢোকে। ভার-এর মাধ্যমে গোল পায় ফ্রান্স।
পোল্যান্ড ম্যাচে সেনেগালের ইদ্রিসে গুইয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন। বল বাইরে যাচ্ছিল। কিন্তু বল পায়ে লাগিয়ে নিজেদের জালে তা পাঠিয়ে দেন থিয়াগো সিওনেক। বিশ্বকাপে প্রথম পোলিশ ফুটবলার হিসাবে লজ্জার নজির সিওনেকের।
রাশিয়া-মিশর ম্যাচেও একই কাণ্ড। ক্লিয়ারের সময় নিজের গোলে বল ঢুকিয়ে ফেলেন আহমেদ ফাতাই। যে গোল খেয়ে পিছিয়ে যাওয়ার আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি সালাহরা। ডিফেন্ডারদের এই কাণ্ডকারখানায় সোশাল মিডিয়া চলছে নানা রঙ্গ। কেউ কেউ বলছেন ওঁদের নামের পাশে স্ট্রাইকার বসিয়ে দিলেও মন্দ হয় না। যা স্ট্রাইক রেট।