আর্জেন্টিনার অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। হ্যারি কেনের পাঁচ গোল। ক্রোয়েশিয়ার চমক। বিশ্বকাপে এমন অজস্র ঘটনার মধ্যেও আলোচনার সামনের সারিতে ভিএআর প্রযুক্তি। প্রতি ম্যাচেই এই প্রযুক্তির ডাক পড়ছে। তার ফলে গোল নিয়ে যেমন বিতর্ক কেটেছে, তেমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি পরিচালনায় রয়েছেন ১৩ জন রেফারি। পেনাল্টি বা অফসাইডে কোনও গোল বাতিল, ফাউলের ধরন বিশ্লেষণে ভিএআর ব্যবহার হয়। লাল বা হলুদ কার্ড দেখানোর ক্ষেত্রে এর শরণাপন্ন হন রেফারিরা। ভিএআর-এ নিযুক্ত রেফারিরা নানা দিক থেকে বিশ্লেষণ করে রেফারিকে মতামত জানান। সিদ্ধান্ত নেবেন মাঠে থাকা প্রধান রেফারি।
advertisement
নেইমারের ডাইভ বা রোনাল্ডোর কনুই। দুই মহাতারকার কাণ্ড নিয়ে সোশাল মিডিয়া এখন তোলপাড়। অভিযোগ, রোনাল্ডো চালাকি করে ভিডিও প্রযুক্তিকেও হার মানিয়েছেন। পেনাল্টি আদায় করেছেন। আবার লাল কার্ড এড়িয়েছেন। মাঠের ৩৫টি ক্যামেরায় নানা কোণ থেকে ছবি এলেও ঠিক পার পেয়ে গিয়েছেন। ক্রিকেটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যাচাইয়ের জন্য রিভিউ নেওয়া হয়। সেটা আম্পায়ার নয়, ক্রিকেটাররা নেন। কিন্তু ফুটবলে এই ক্ষমতা শুধু রেফারির। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই প্রযুক্তি কখনও কোনও টিমের পক্ষে অভিশাপ হতে পারে। যার হাতে গরম নমুনা ইরান, মরক্কোর মতো দল। বিশ্বকাপে বিতর্কের ভিএআর। এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও তা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে।