প্রথমে বলা হয়েছিল যে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন শর্ত ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১-এর মধ্যে। নয়া প্রাইভেসি পলিসির প্রকাশের পর অনেকেই এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপরেই নতুন পলিসি লাগু করার সময়কাল পিছিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। তিন মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয় নতুন পলিসি লাগু হওয়ার সময়। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত নয়া নীতি অ্যাকসেপ্ট করার সময়সীমা দিয়েছে WhatsApp।
advertisement
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে কিছু দিন আগে জানানো হয় ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের অধীনস্থ যেকোনও সংস্থা এমনকি ফেসবুক (Facebook)-এও শেয়ার হতে পারে। এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি। তার পরই ঘটে বিপত্তি। এই অতি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ছেড়ে বের হতে শুরু করে মানুষজন। এমনকি বর্তমানে ভারতের মতো দেশে মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করতে রাজি।
এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের তথ্য সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের তরফে গতকাল হোয়াটসঅ্যাপের কর্ণধার ক্যাথকার্টকে একটি চিঠিটি পাঠানো হয়। পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্য চেয়ে একটি প্রশ্নমালাও পাঠানো হয়। খবর মোতাবেকে, এটা শুধু ভারতের সঙ্গেই হচ্ছে কি না তাও জানতে চাওয়া হয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতীয়দের ক্ষেত্রে সিকিওরিটি পলিসি, ইনফরমেশন সিকিওরিটি পলিসি, সাইবার-সিকিওরিটি পলিসি, প্রাইভেসি পলিসি ও এনক্রিপশন পলিসিতে সংস্থার পলিসি ও বাকি দেশের ক্ষেত্রে তাদের পলিসিতে কতটা পার্থক্য রয়েছে, তা স্পষ্ট করতে হবে।
দেশের মানুষের তথ্য সুরক্ষার স্বার্থে সরকারের তরফে চিঠিটি পাঠানোর পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্য চেয়ে একটি প্রশ্নমালাও পাঠানো হয় হোয়াটসঅ্যাপকে। সেখানে সংস্থার ডেটা শেয়ারিং প্রোটোকল ও বিজনেস প্র্যাক্টিস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি ভারতীয়দের কী ধরনের তথ্য সংস্থা কোন কাজে কোন পরিষেবার জন্য কার সঙ্গে শেয়ার করছে, তাও জানতে চায় কেন্দ্র। যার উত্তরে আজ হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা আবারও বলতে চাই যে আপডেট হতে চলেছে, তাতে আমরা ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও নতুন নতুন অপশন নিয়ে আসা যাতে ব্যবসার ক্ষেত্রে মানুষ সাহায্য পায়। মুখপাত্র উত্তরে আরও জানান, হোয়াটসঅ্যাপ সকলের মেসেজ সুরক্ষিত রাখবে ও এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন বজায় থাকবে। ফলে না হোয়াটসঅ্যাপ না ফেসবুক, কেউই এই মেসেজ দেখতে পাবে না। সকলের কাছে যে ভুল তথ্য গিয়েছে, তার উপরে আমরা কাজ করছি। এবং এই নিয়ে যে কোনও ধরনের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।
তবে এই চ্যাটিং প্ল্যাটফর্মের দাবি ছিল, নতুন পলিসির মাধ্যমে পরিষেবা এবং ইউজার এক্সপিরিয়েন্সকে আরও মজবুত করে তোলা হবে। কিন্তু তথ্য ফাঁস যাওয়ার ভয়ে ভুগতে শুরু করেছেন মানুষজন। তাঁদের আতঙ্ক- এবার হয় তো সমস্ত গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর এই বিষয়টির সমাধান করা হোয়াটসঅ্যাপের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।