রিপোর্ট অনুসারে, লে রক্স জিমের কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেয়ে ক্রিকেটারদের বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের দৌঁড়ানো বেশি পছন্দ করেন। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও এর পক্ষে বলে মনে হচ্ছে। ভারতীয় দল ইতিমধ্যেই খেলোয়াড়দের ফিটনেসের মাত্রা বজায় রাখার জন্য ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা এবং ২-কিমি টাইম ট্রায়াল ব্যবহার করে। এবার যোগ হতে চলেছে ব্রঙ্কো টেস্ট।
advertisement
ব্রঙ্কো টেস্ট কী?
ব্রঙ্কো টেস্ট হলো একধরনের শাটল রান অনুশীলন। যেখানে একজন খেলোয়াড়কে ২০ মিটার, ৪০ মিটার ও ৬০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। এই তিনটি দূরত্ব একসঙ্গে একটি সেট হিসেবে ধরা হয়। খেলোয়াড়দের বিরতি না নিয়ে ছয় মিনিটে প্রায় ১২০০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে পাঁচটি সেট সম্পন্ন করতে হবে। খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং কন্ডিশনিংয়ের মান প্রতিষ্ঠার জন্য এই পরীক্ষাটি চালু করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের পাস করার জন্য নির্ধারিত সময় মাত্র ৬ মিনিট। এটি নির্বাচনের মানদণ্ড হিসাবে বিবেচিত হবে। রাগবি প্লেয়ারদের মত মত ফিটনেস রাখতে এই পরীক্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিসিআই-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ অনেক খেলোয়াড় বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে গিয়ে ব্রঙ্কো টেস্টে অংশ নিচ্ছেন, যেখানে খেলোয়াড়দের বিশেষ করে পেসারদের দৌড়ানোর পরিমাণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, জিম-কেন্দ্রিক কাজের তুলনায়।
আরও পড়ুনঃ কেন ওডিআই র্যাঙ্কিং থেকে বাদ পড়লেন রোহিত-কোহলি? ভুল স্বীকার করে কারণ জানাল আইসিসি
Yo-Yo টেস্ট এবং টাইম ট্রায়াল:
বর্তমানে প্রচলিত Yo-Yo টেস্টে খেলোয়াড়দের ২০ মিটার দূরত্বে রাখা দুটি কোনের মধ্যে দৌড়াতে হয় ক্রমাগত বাড়তে থাকা গতিতে। প্রতি ৪০ মিটার পর ১০ সেকেন্ড বিরতি দেওয়া হয়। পুরুষ দলের জন্য এই টেস্টে ন্যূনতম স্কোর নির্ধারিত হয়েছে ১৭.১। ২ কিমি টাইম ট্রায়ালে, পেসারদের ৮ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ২ কিমি দৌড় শেষ করতে হয়, আর উইকেটকিপার ও ব্যাটারদের জন্য সময়সীমা একটু বেশি – ৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। এবার নতুন টেস্ট কতটা চ্যালেঞ্জিং হয় সেটাই দেখার।