আরও পড়ুন- ওয়াংখেড়েতে হার্দিকের হাতে হঠাৎ এটা কী উড়ে এল !! হাসিতে ফেটে পড়লেন বুমরাহ, কোহলি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলার সময় কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে বিরাট জানান, বিশ্বকাপে যেন তাঁর ইগো বেড়ে গিয়েছিল। তাই মনে হয়েছিল যে তিনি সব কিছু করতে পারবেন। কিন্তু ফাইনালে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে খেলাটাকে সম্মান দিতেই বাধ্য হয়েছিলেন। আর ইগোকে দমিয়ে খেলাটাকে সম্মান দিতেই ক্রিকেটের ঈশ্বর তাঁকে রানে ফিরিয়ে দেন বলে জানালেন বিরাট। বিরাট বলেন, ‘‘পুরো টুর্নামেন্টে আমি যেটা করতে চেয়েছিলাম সেটা করতে পারিনি। আমি আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিলাম। টুর্নামেন্টের মাঝপথে আমি রাহুল দ্রাবিড়কে জানাই যে আমি দলের সঙ্গে ঠিক করছি না। রাহুল দ্রাবিড় জানান যে আমার বিশ্বাস আছে যেদিন দরকার হবে সেদিন পারবে। ওপেন করতে নেমে আমার যখন চারটে বলে তিনটে বাউন্ডারি আসে তখনই আমি রোহিতকে বলি এসব কী হচ্ছে?’
advertisement
বিশ্বকাপে রানের খরা চলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কোহলি বলেন, ‘‘আমি যা কিছু করার চেষ্টা করছিলাম, সেটা কাজে আসছিল না। তো তখন আমার মনে হচ্ছিল যে যখন আপনার মনে হয় যে হ্যাঁ, আমি সবকিছু করতে পারব। তো কোথাও না কোথাও আমার অহঙ্কার বা ইগো বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর সেটা হলে খেলাটা আপনার থেকে দূরে চলে যায়। তো ওটা ঝেড়ে ফেলার দরকার ছিল। আর ফাইনাল ম্যাচে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল, আমি যে নিজের ইগোকে এগিয়ে রাখব, সেটার সুযোগই ছিল না। টিমের জন্য ইগোকে পিছনে রাখতেই হয়েছিল। যখন খেলাটার সম্মান করলাম, তখন খেলাও সেদিন আমায় সম্মান ফিরিয়ে দিল। এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছিল।’’