কোনদিন সত্যি কথা বলতে ভয় পান না। রনতুঙ্গা মনে করেন সরকারের বিরোধিতা করে ক্রিকেটাররা শত্রু হতে চায় না। নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে চায়। রনতুঙ্গা বলছেন দেশের এই অবস্থা মোটেই রাজনৈতিক সঙ্কট নয়। নেতাদের পাশাপাশি জনগণের সমান অধিকার আছে ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার। তিনি নিজেও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু জনসমক্ষে দেশের নেতাদের ভুল পদক্ষেপের সমালোচনা করতে পিছপা হননি।
advertisement
সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকট চলছে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। বিদেশি ঋণের বোঝায় ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। শ্রীলঙ্কায় চাল ও গম বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি ২২০ টাকা ও ১৯০ টাকা কেজি দরে। একটি ডিমের দাম ৩০ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সহ মন্ত্রীসভার ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। দেশ জুড়ে চলছে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ।
সেই প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলাও করা হচ্ছে। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। বর্তমানে আইপিএলে বিভিন্ন দলের কোচিং স্টাফে যুক্ত আছেন শ্রীলঙ্কার তিন কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনে এবং লাসিথ মালিঙ্গা। বিদেশে থেকেও দেশের জন্য তাদের মন কাঁদছে। সাঙ্গাকারা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
খাবারের জন্য মানুষ যেভাবে সংগ্রাম চালাচ্ছেন তা দেখে আমি অত্যন্ত ব্যথিত। প্রতিদিন মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রনেতাদের বলছি মানুষকে শত্রু মনে করবেন না। মানুষের ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখা আপনাদের কর্তব্য। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত ছাত্রদের ওপর জলকামান ব্যবহার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ।
এই ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করে ইনস্টাগ্রামে মাহেলা জয়াবর্ধনে লিখেছেন, শ্রীলঙ্কায় কারফিউ এবং জরুরি অবস্থা দেখে আমি খুবই হতাশ। সরকার কখনই দেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।