বাকি ম্যাচগুলিতেও অবদান রাখেন তিনি। এরপর পরবর্তী সিরিজগুলিতেও তিনি রান করেছেন। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই বড় রান আসছে না কিং কোহলির ব্যাট থেকে। বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে এখনও পর্যন্ত ৫ ইনিংসে একটিও অর্ধশত রান আসেনি তার ব্যাট থেকে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে কোহলির অন্যতম অনুরাগী প্রাক্তন পাক জোরে বোলার শোয়েব আখতার সংবাদমাধ্এ জানালেন কেন তিনি কোহলিকে সর্বসেরা মনে করেন।
advertisement
আরও পড়ুন - ভারতের সামরিক শক্তি কয়েক গুণ বাড়ায় কিছুটা ব্যাকফুটে চিন, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান!
পাক সংবাদমাধ্যম সুনো নিউজে শোয়েব জানান, আমি বিশ্বাস করি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যাটার সচিন তেন্ডুলকার, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে উনি তার ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। উনি নিজেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। আমি আমার এক বন্ধুর সঙ্গে বিরাটের ব্যাপারে কথা বলছিলাম, আমরা একই বিষয় আলোচনা করছিলাম। বিরাট যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন, যখন তিনি মনের জোর বাড়ালেন, তিনি পারফরম্যান্স দিলেন।
যখন ওর মনে কোনো দ্বিধা দ্বন্দ্ব রইল না, তখন টি-২০ বিশ্বকাপে চিনিয়ে দিল ওর জাত। দেখে মনে হচ্ছিল কোহলির প্রত্যাবর্তনের জন্যই ভগবান এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল। শোয়েব আরো বলেন, একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখার তা হল কোহলির প্রায় ৪০ টি সেঞ্চুরি এসেছে রান তাড়া করার সময়, লোকে বলে আমি নাকি বিরাটের খুব প্রশংসা করি, কেন করব না বলুন তো ?
একটা পর্যায়ে বিরাটের সেঞ্চুরির জন্যই ভারত ম্যাচ জিতত। বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে একেবারেই রানের মধ্যে নেই বিরাট। বিরাট কোহলি এখনো পর্যন্ত ১০৬ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ৪৯ এর কাছাকাছি ব্যাটিং গড়ে করেছেন ৮ হাজার ১৯৫ রান। এর মধ্যে ২৭ টি সেঞ্চুরি আছে।
অন্যদিকে,২৭১ টি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে প্রায় ৫৮ এর ব্যাটিং গড়ে বিরাট ১২হাজার ৮০৯ রান করেছেন, এর মধ্যে ৪৬ টি শতরান রয়েছে। টি-টোয়েন্টিতেও তিনি বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ। ১১৫ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রায় ৫৩ এর ব্যাটিং গড়ে কোহলি করেছেন ৪ হাজার ৮ রান। এর মধ্যে একটি শতরানও রয়েছে।
আখতার কি করেন বিরাটের সঙ্গে সচিনের পার্থক্য শুধুমাত্র ক্রিকেটিয়ও পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করা উচিত নয়। যদিও সচিনের আমলে কঠিন ফাস্ট বোলারদের সংখ্যা ছিল এখনকার তুলনায় বেশি, তবুও শোয়েব মনে করেন বিরাটের কাজটা বেশি কঠিন কারণ তিনি তিন নম্বরে আসেন একদিনের ক্রিকেটে। ব্যক্তিগতভাবে বিরাটকে নিজের ক্রিকেট জীবনে প্রতিপক্ষ হিসেবে না পাওয়ার দুঃখ থেকে যাবে চিরকাল জানিয়েছেন পাক পেসার।
