সঞ্জয় মনে করেন পৃথ্বীকে এখনই শতরান হাতছাড়া হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে চাপ বাড়ানোর দরকার নেই। ভবিষ্যতে অনেক সময় পাবে শতরান করার। আধুনিক ক্রিকেটে শতরানের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জেতা এবং বিপক্ষ বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করা। পৃথ্বী কখনই বোলারদের মাথায় উঠতে দেয় না। অনেকটা বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মানসিকতা। প্রথম ম্যাচে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৯। এর থেকেই বোঝা যায় কতটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বোলারদের ধ্বংস করতে চায় ছোটখাটো চেহারার এই ব্যাটসম্যান।
advertisement
মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানের টেকনিক একশো শতাংশ নিখুঁত না হলেও ব্যাট ফ্লো দেখার মত। সঞ্জয় মনে করেন ছেলেটার সবচেয়ে বড় গুণ ভাল বলকেও বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর ক্ষমতা রাখা। এটা বিপক্ষ দলকে হতাশ করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। পৃথ্বী নিজে ম্যাচের শেষে জানিয়েছিলেন আউট হয়ে তিনি হতাশ। তবে কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে বকেননি। সেভাবে কিছুই বলেননি। কিন্তু অনুশীলনে বারবার দ্রাবিড় উইকেটের মূল্য বুঝিয়েছেন।
আক্রমনাত্মক খেলার পাশাপাশি দীর্ঘসময় ওপেনার হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা যে বড় দায়িত্ব সেটা শিখিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্যই এই উপদেশ মাথায় রেখে ব্যাট করতে নামবেন। ভারতীয় দল শ্রীলঙ্কা সিরিজটা যে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ধরেছে তাতে সন্দেহ নেই। প্রথম ম্যাচে হার্দিক, ক্রুনাল ব্যাট করার সুযোগ পাননি। দলে জায়গা হয়নি ঋতুরাজ, নিতিশ রানাদের। প্রত্যেককে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে নেওয়াই লক্ষ্য রাহুল দ্রাবিড়ের।