শত্রু শিবিরে সমীহ আদায় করে নিচ্ছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানটি। রানের মধ্যে আছেন বেঙ্কটেশ আয়ার, অধিনায়ক নীতীশ রানাও। ওপেনার গুরবাজের প্রশংসা না করে উপায় নেই। তিনি শুরুতে ঝড় তুলছেন, যা পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দিচ্ছে। রাসেল যদি ফর্ম ফিরে পান, তাহলে কেকেআরের জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।
সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে এই ম্যাচে কেকেআরের উইনিং কম্বিনেশন অটুট থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষা বাড়বে জেসন রয়, লিটন দাসদের। সাফল্য ও শক্তির নিরিখে হায়দরাবাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে কলকাতা। তবে আইপিএলে এসব হিসেব চলে না। আজ যে রাজা, কাল সে ফকির। তাই ফেভারিট হলেও পচা শামুকে যে নাইটদের পা কাটবে না তার গ্যারান্টি কোথায়!সানরাইজার্স শিবিরে তেমন কোনও নামী স্পিনার নেই।
advertisement
আদিল রশিদ, মায়াঙ্ক মারকাণ্ডের সঙ্গে ওয়াসিংটন সুন্দর। চলতি আসরে এখনও উইকেটই পাননি শেষের জন। অনেকে মজা করে বলছেন, এর চাইতে বোলিং কোচ মুত্তাইয়া মুরলীধরনকে মাঠে নামিয়ে দিক হায়দরাবাদ।পিচে যে ঘাসের লেসমাত্র নেই। একেবারে ন্যাড়া উইকেট। এমনটাই নাকি চেয়েছে কেকেআর।
কয়েক ওভার খেলা গড়ানোর পর যা হয়ে পড়বে মন্থর। পরিণত হবে স্পিনারদের স্বর্গরাজ্যে। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল নাইটদের প্রথম হোম ম্যাচে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটসম্যানদের ঘুর্ণির ফাঁদে ফেলেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন স্পিনার ত্রয়ী— সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী ও সুয়াশ শর্মা। হায়দরাবাদের ব্যাটিংয়ে সূর্যাস্ত ঘটাতে একই কৌশল অবলম্বন করতে পারেন কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।
