বোঝা গেল এই ছেলের লড়াই বৃথা যায়নি। ১৫ বছর বয়সে নেমেছিলেন যুব অলিম্পিক্সে। সেবার আর্জেন্টিনায় তিনি পদক জয়ের লড়াইয়ে নেমেছিলেন সেই সময় বাড়িতে তাঁর ভাই জেরি এবং পড়শিরা খেলা দেখছিলেন ইউটিউবে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় সেই লাইভ। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সকলে। জেরেমির মধ্যে কোনও চিন্তা ছিল না। ১৫ বছরের ছেলেটি অনায়াসে তুলে নেন ২৭৪ কিলো।
advertisement
রবিবার বার্মিংহামে উপভোগ করতেই দেখা গেল জেরেমিকে। স্ন্যাচিংয়ে প্রথম চেষ্টায় ১৩৬ কিলো তোলেন জেরেমি। পরের বার তোলেন ১৪০ কিলো। রেকর্ড গড়ার পর তৃতীয় বার ১৪৩ কিলো তুলতে এসে ব্যর্থ হন। স্ন্যাচিং বিভাগের পর শীর্ষে ছিলেন তিনিই। ক্লিন ও জার্ক বিভাগে সর্বোচ্চ তুললেন ১৬০ কিলো। সেখানে গেমস রেকর্ড গড়তে না পারলেও সোনা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল সেটাই।
চার বছর আগে যুব অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন জেরেমি। সোনা জিতেছিলেন কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপেও। এবার সোনা এল কমনওয়েলথ গেমসেও। স্ন্যাচিংয়ে তাঁর বিভাগে রেকর্ড গড়লেন জেরেমি। ১৪০ কিলো তোলেন তিনি। কমনওয়েলথ গেমসে ৬৭ কিলো বিভাগে যা রেকর্ড।
তবে কিছুটা চোট পেয়েছেন জেরেমি। কিন্তু স্বর্ণপদক জয়ের আনন্দের কাছে সেই ব্যথা কিছুই না। রবিবার যখন পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় ভারতের জাতীয় সংগীত বাজল, জেরেমির চোখে জল এবং মুখে হাসি। দ্বিতীয় স্থান পাওয়া সামোয়া এবং তৃতীয় স্থান পাওয়া নাইজেরিয়ানকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি।
মনিপুরের মীরার পর এবার মিজোরামের জেরেমির হাত ধরে দ্বিতীয় সোনা এল ভারতের ঘরে। ভারতীয় খেলাধুলার মানচিত্রে উত্তরপূর্ব রাজ্যের দাদাগিরি চলছে।