শুনতে অদ্ভুত লাগলেও শরণদীপ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে মিডিয়া বিরাটের ব্যক্তিত্বকে যে ভাবে সবার সামনে তুলে ধরে, আদতে দেশের এই স্টার ক্রিকেটার মোটেও সে রকম আগ্রাসী স্বভাবের নন। তাঁর এই আগ্রাসী মনোভাব কেবল দেখা যায় মাঠে খেলতে নামলেই! খেলা শেষ হওয়ার পরে বিরাট একেবারে অন্য মানুষ, বলা ভালো পুরোপুরি মাটির মানুষ! নানা সময়ে শরণদীপ খুব কাছ থেকে দেখেছেন কিং কোহলিকে, তাই এই কথা বলতে কোনও দ্বিধাবোধ করেননি তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে টিমের কোনও মিটিং হোক বা খেলার মাঠের অনুশীলন, তাঁর মতে বিরাটকে সব সময়েই দেখা যায় ঠাণ্ডা মাথায়। এমনকী কেউ তাঁর খেলা নিয়ে কোনও সমালোচনা করলেও না কি সেটা খুব শান্ত ভাবে গ্রহণ করেন বিরাট, চুপচাপ শুধু শুনে যান, অন্যপক্ষের বক্তব্য ভুল হলেও কোনও প্রতিবাদ করেন না।
advertisement
এই প্রসঙ্গে শরণদীপ তুলে ধরেছেন বিরুষ্কার (Virushka) বাড়ির এক পার্টির কথা। তিনি জানিয়েছেন যে সেই সন্ধ্যায় ওই পার্টিতে তিনি কোনও কাজের লোক দেখেননি! বিরাট এবং অনুষ্কাই সারাটা সময় জুড়ে অতিথিদের দেখভাল করেছেন, তাঁদের খাবার পরিবেশন করে খাইয়েছেন নিজের হাতে। শরণদীপের বক্তব্য- আজ পর্যন্ত কোনও সেলিব্রিটির এমন অমায়িক ব্যবহার তিনি দেখেননি!
সন্দেহ নেই, অনুষ্কা এবং বিরাটের এ হেন ব্যবহার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে! কিন্তু শরণদীপের কথা পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়! কেন না, এই দুই দম্পতি বেশির ভাগ সময়েই বাড়িতে থাকেন না! তখন ঘরদোর পরিষ্কার রাখেন কারা? কে-ই বা দেখভাল করেন পোষ্যের? সেই সন্ধ্যায় শরণদীপ কাউকে দেখেননি মানে কাজের লোকদের যে ছুটি দিয়ে রাখেননি বিরুষ্কা, তার কোনও মানে নেই! যা-ই হোক, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি দম্পতি, অতএব সন্দেহ রয়ে গিয়েছে সেই তিমিরেই!
