ব্রাজিল এরই মধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাই দলের সেরা তারকা কে মাঠে নামিয়ে ঝুঁকি বাড়াতে রাজি নয় ব্রাজিল। বরং বিশ্রাম নিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন নেইমার। আর মেসিদের সুযোগ আছে ব্রাজিলকে হারিয়ে তাদের সঙ্গী হওয়ার। যদিও অন্য ম্যাচগুলোর ফলও মেসিদের পক্ষে আসতে হবে। সেটি না হলেও পরের পাঁচ ম্যাচে কাতার যেতে আর ১টি পয়েন্ট যথেষ্ট হবে তাদের।
advertisement
চোটের কারণে মেসির এই আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলাটা পছন্দ করেনি তাঁর ক্লাব পিএসজি। তবে উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ১-০ গোলে জেতা ম্যাচে শেষ ১৫ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছেন। সেটাই ব্রাজিল ম্যাচের প্রস্তুতি ছিল বলে জানিয়েছিলেন কোচ স্কালোনি।অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। তারপরেই বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ব্রাজিল এবং আর্জেন্তিনা। স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশার পারদ ক্রমশই চড়ছে। গুরুত্বের বিচারে ব্রাজিলের কাছে এটা নিছকই নিয়মরক্ষার ম্যাচ।
কোপা আমেরিকা ফাইনালের হারের বদলাটা যে নেওয়া বাকি আছে তাঁদের। তাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে প্রস্তুত সেলেকাওরা। পক্ষান্তরে, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করার জন্য একটি জয় প্রয়োজন আর্জেন্তিনার। ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে হারিয়ে শুভকাজ সম্পন্নেই পাখির চোখ থাকবে লিওদের। সম্প্রতি দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আর্জেন্তিনা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ২৬টি ম্যাচে অপরাজেয় তারা।
আক্রমণভাগে রীতিমতো আলো ছড়াচ্ছেন মেসি, লাওতারো মার্তিনেজ, ডি মারিয়ারা। মাঝমাঠে ভরসা ডি পল-লো সেলসো জুটি। তবে কোচ স্কালোনিকে সবচেয়ে নিশ্চিন্ত করছে দলের রক্ষণভাগ। পাঁচ ম্যাচে কোনও গোল হজম করেননি ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোরা। দুর্গপ্রহরী এমিলিয়ানো মার্তিনেজও স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। ব্রাজিলের লুকাস প্যাকেটা, রাফিনহা, জেসুস আক্রমণভাগের ভরসা। ড্যানিলো, মারকিউনসদের নিয়ে তৈরি ডিফেন্স বেশ মজবুত। তবে আর্জেন্টিনার ঘরের মাঠে খেলা। সেটা কিছুটা সুবিধা হতে পারে মেসিদের।