( মলিনা, মেসি)
নেদারল্যান্ড - ২
( ওয়েজহরস্ট)
টাইব্রেকারে ৪-৩ জয়ী আর্জেন্টিনা
#দোহা: আর্জেন্তাইন মহাতারকার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা ছিল ডাচ কোচ লুই ফন গলের। জোনাল মার্কিংয়ে মেসিকে রুখে শেষ চারে পৌঁছনোর অঙ্ক কষছিলেন তিনি। ব্রাজিল বিশ্বকাপে নাইজেল ডে জং এবং ডালে ব্লাইন্ডের মাধ্যমে নিষ্প্রভ করে দেওয়া গিয়েছিল এলএমটেনকে। এবারও কি সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে?
advertisement
উল্লেখ্য, সেই ম্যাচে টাই-ব্রেকারে ফন গলের দলকে হারিয়েছিলেন মেসিরা। তবে শুক্রবার সেই সম্ভাবনা কম। কারণ, দুই দলের রক্ষণেই গলদ রয়েছে। দেখার ছিল কোন কোচ স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে এই ভুলত্রুটি মেরামত করে নিতে পারেন। অভিজ্ঞতার নিরিখে লুই ফন গল অবশ্যই এগিয়ে। পরিসংখ্যান বলছে, এই বিশ্বকাপের প্রবীণতম কোচ তিনিই (৭১)। উল্টোদিকে লায়োনেল স্কালোনি সবচেয়ে কনিষ্ঠ (৪৪)।
নেদারল্যান্ডস বধের চিত্রনাট্য লিখতে মরিয়া ছিলেন মেসিও। এদিন ছিল মেসির বিশ্বকাপে ২৪ তম ম্যাচ। ম্যাচের শুরু থেকে দুই দল সমানে সমানে লড়াই করছিল। যদিও পাস খেলার বিচারে কিছুটা এগিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ৩৫ মিনিটে লিড নেয় নীল সাদা জার্সিধারীরা। মেসি বলটা ধরে সামান্য মাথা উঁচু করে দেখে নিলেন ফুলব্যাক মলিনা বক্সে ঢুকে পড়েছেন।
দুই ডাচ ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে বা পায়ের থ্রু বাড়ালেন ম্যাজিশিয়ান। মলিনা ফিনিশ করতে ভুল করেননি। ভ্যান ডাইক পা বাড়িয়েও আটকাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও আর্জেন্টিনার পায়ে বলছিল বেশি। ৬২ মিনিটে মেসির একটি ফ্রি কিক অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ব্লিন্দের পরিবর্তে স্ট্রাইকার ডি ইয়ংকে নিয়ে আসে নেদারল্যান্ডস।
৬৫ মিনিটে ডে পলকে তুলে নিয়ে পারেদেসকে নিয়ে আসে আর্জেন্টিনা। ৭৩ মিনিটে আর্জেন্টিনার লেফট ব্যাক মার্কোস আকুনাকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন দামফ্রিজ। পেনাল্টি দেন রেফারি। বল জালে জড়াতে ভুল করেনি মেসি। এই নিয়ে বিশ্বকাপের আসরে ১০ গোল হয়ে গেল মেসির। স্পর্শ করে ফেললেন গাবরিয়েল বাতিস্তুটাকে।
এরপর নেদারল্যান্ডস লড়াই চালাল বটে, কিন্তু সেটা কমব্যাক করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। মোটামুটি বিনা চ্যালেঞ্জে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মারাদোনার দেশ। ক্রোয়েশিয়ার চ্যালেঞ্জের জন্য এবার প্রস্তুত হবেন স্কালোনির ছেলেরা।
শেষ ১০ মিনিটে অবশ্য চাপ বাড়াল ডাচ দল। ওয়েজহর্ট হেডে একটি গোল শোধ করলেন। পরপর আক্রমণ করছিল নেদারল্যান্ডস। শেষদিকে মাথা গরম করে মারামারি হল। ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল। একেবারে শেষ লগ্নে গোল করে দিল নেদারল্যান্ডস। সেই ওয়েজহরস্ট। ফ্রিকিক দেওয়ালের নীচ দিয়ে গলে যেতেই বুদ্ধি করে প্লেস করলেন।অতিরিক্ত সময় আর্জেন্টিনার সুযোগ বেশি তৈরি করেও গোল করতে পারেনি।
কিন্তু আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানও মার্টিনেজ আবার রক্ষা করতে হয়ে উঠলেন টাইব্রেকারে। প্রথম দুটি শট সেভ করে আর্জেন্টিনাকে অ্যাডভান্টেজ এনে দিলেন। এরপর আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করল ৪-৩ ব্যবধানে। পৌঁছে গেল সেমিতে। ঐতিহাসিক ম্যাচ হিসেবে মনে রাখবে লোকে।