এই সময়ের মধ্যে পর্তুগালের হয়েও তার পারফরম্যান্স একেবারেই আশানুরুপ নয়। চলতি বছরে দেশের জার্সিতে ও ক্লাবের হয়ে ১৪ ম্যাচে মাত্র ৩ টি গোল করেছেন রোনাল্ডো। পর্তুগাল নেশনস কাপে চেক রিপাবলিককে হারাতে পারলেও, স্পেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায়। ঐ ম্যাচে একাধিক গোলের সুযোগও নষ্ট করেন সিআরসেভেন।
এরপরই তার দেশে সমর্থকদের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন রোনাল্ডো। যা তার দিদি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি। সমর্থকদের আচরণে রেগে গেছেন তার দিদি কাটিয়া এভেইরো। একেবারে চাচাছোলা ভাষায় আক্রমন করেছেন পর্তুগিজ সমর্থকদের। তার ইনস্টাগ্রামে রোনাল্ডোর দিদি লিখেছেন, বর্তমান সময় আমায় একেবারেই অবাক করেনি, পর্তুগিজরা যে প্লেটে খায়, সেই প্লেটেই থুতু ফেলে, সর্বদা এই দেখে আসছি।
advertisement
তাদের কাঁধে হাত রাখা খুব জরুরি, যারা পর্তুগালের জন্য তাদের সর্বস্ব দিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু পর্তুগাল সমর্থকরা অসুস্থ, নিচ মানসিকতার, হৃদয়হীন, বোকা ও সবসময়ই অকৃতজ্ঞ। রোনাল্ডোর পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় দলে তার কোচ ফার্নান্দো স্যান্টস। স্পেনের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর একাধিক গোলের সুযোগ নষ্টকে খেলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে স্যান্টস বলেন, যেটা আমার ভাল লাগছে যে দল ভাল খেলেছে। রোনাল্ডো তিনটি বা চারটি সুযোগ পেয়েছিল। তার মধ্যে দুটো খুবই ভাল সুযোগ ছিল। যেগুলো সাধারণভাবে ও গোল করে। সে আজ এগুলো গোলে রূপান্তরিত করতে পারল না। এটাই ফুটবল।
কাতার বিশ্বকাপই রোনাল্ডোর সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে, তাই এই বিশ্বকাপে তার উপর পর্তুগাল টিম ম্যানেজমেন্টের বিরাট প্রত্যাশা। কিন্তু তার সাম্প্রতিক খারাপ ফর্ম সমর্থকদের একাংশের মধ্যে তার দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পর্তুগালের হয়ে ১৯১ টি ম্যাচে ১১৭ টি গোল করেছেন সিআরসেভেন। পর্তুগালের হয়ে সর্বোচ্চ গোল সংগ্রাহক তিনিই।