তবে কথাবার্তা ইতিবাচকই রয়েছে। মোহনবাগানের টুইটারে প্রকাশ করা হয় কামিংসের ছবি, তাও সবুজ মেরুন জার্সিতে এবং সেখানে শিরোনাম দেওয়া হয় "আসছে! কামিংস আসছে!"। শোনা যাচ্ছে ট্রান্সফার ফি এবং মাইনে সমেত মোট ১১ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে মোহনবাগানের এই ফুটবলারকে আনতে। তবে আসরে নেমেছে মুম্বাই সিটি এফসি। জেসনকে পেতে চায় তারাও।
advertisement
তবে মনে করা হচ্ছে, মোহনবাগান এগিয়ে। টুইটারে এই ছবি প্রকাশ হতেই ঝড় উঠে যায় সমর্থদের মধ্যে। শেষ মরশুমে মোহনবাগান আইএসএল জিতলেও তাদের কোনো পেশাদার স্ট্রাইকার ছিল না। দিমিত্রি পেত্রাতোসকে আনা হয়েছিল সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে এবং উইথড্রইং ভূমিকায়। তার থেকেও দারুন সাফল্য পেয়েছে ক্লাব, ১১ গোল করে তিনি আইএসএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা।
স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্ডো আর কোনও ঝুঁকি নিচ্ছেন দলের আক্রমনে তাই তিনি কোনো সাধারণ স্ট্রাইকার নয়, সম্প্রতি বিশ্বকাপ খেলা স্ট্রাইকার জেসন কামিংসকেই বেছে নিয়েছেন দলে। জেসন অস্ট্রেলিয়া এবং স্কটল্যান্ড উভয় দেশের জাতীয় দলেই খেলেছেন। তার বাবা একজন স্কটিশ এবং মা অস্ট্রেলীয়। তার জন্ম, ফুটবল শেখা সবই স্কটল্যান্ডেই।
অনুর্ধ্ব-১৯, অনুর্ধ্ব-২১ দলে খেলার পাশাপাশি স্কটল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন এক বছর। রেঞ্জার্স, ডান্ডির মত বিখ্যাত স্কটিশ ক্লাবে তিনি খেলেছেন। এমনকি তিনি বর্তমান প্রিমিয়ার লিগ খেলা ক্লাব নটিংহ্যম ফরেস্টেও খেলেছেন। সম্ভবত ২০২২ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড খেলার আশা কম বলে ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
২০২২-এ কামিংস অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে নির্বাচিত হন। কাতার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। ফ্রান্সের বিপক্ষে প্ৰথম ম্যাচেই পরিবর্ত হিসাবে ৫৬ মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন। বর্তমানে কামিংস খেলেন ‘এ’ লিগের সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স-এর হয়ে। গত সিজনে সেন্ট্রাল কোস্টের হয়ে ২৬ গোল করে লিগের অন্যতম সেরা স্কোরারও হয়েছিলেন তিনি। ২৮ বছরের তারকা স্কটিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগে ১১৬ গোল করে ফেলেছেন।