( হুগো, মনবীর)
ইস্টবেঙ্গল - ০
#কলকাতা: এবারের ডার্বি, একতরফা হবে না কথা দিয়েছিলেন লাল হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। দুমাস আগে শেষবার অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার চাকা ঘুরবে এমনটাই ছিল আশা। নির্ভীক ফুটবল খেলার কথা বলেছিলেন স্টিফেন। ম্যাচের শুরু থেকে দাপট ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তারপর থেকে খেলাটা ধরে নিল ইস্টবেঙ্গল।
advertisement
১৫ মিনিটের মাথায় প্রথম বলে সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। হাওকিপের হেড বাঁচিয়ে দেন মোহনবাগান গোলরক্ষক। এক মিনিট পরেই মহেশের বাড়ানো বল অল্পের জন্য ধরতে পারেনি সিলভা। জর্ডান বক্সের মধ্যে পড়ে গেলে পেনাল্টির দাবি করে ইস্টবেঙ্গল। রেফারি অবশ্য দেননি।
জনিকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের কিরিয়াকু। হুগো বুমু বক্সের মধ্যে ঢুকেও নিশানায় সঠিক থাকতে পারেননি। মাথা গরম হল দু দলের। হল ধাক্কাধাক্কি। লাস্টন স্বার্থপরতার কারণে সুযোগ হারালেন এটিকে মোহনবাগানের হয়ে। সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের জমে উঠেছে ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ম্যাচটা তারা এমনি ছেড়ে দেবে না।
সুযোগ পেলে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়ছে না এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু বক্সের ভেতর ফাইনাল পাস সঠিক হচ্ছে না। দু'দলের ডিফেন্স যথেষ্ট ভালো খেলছে। ৫৬ মিনিটে প্রথম গোল। হুগো বুমু একটা বল ধরে একক প্রচেষ্টায় কিছুটা দৌড়ে শট মারলেন। লাল হলুদ গোলরক্ষক কমলজিৎ জঘন্য গোল খেলেন। নিজেই হাত দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেন বল। দেখে মনে হল ভলিবল খেলছেন।
৬৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। হুগো থেকে বল পেলেন দিমিত্রি। তিনি বাড়ালেন মনবিরকে। জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি। এই নিয়ে বড় ম্যাচে তিনটি গোল হয়ে গেল তার। ৬৫ মিনিটে দীপককে তুলে নিয়ে নিয়ে আসা হল লেনইকে। ইস্টবেঙ্গল নিয়ে এল সৌভিক, এলিয়ান্ডরকে।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ইস্টবেঙ্গল কিন্তু লড়াই থেকে হারিয়ে যায়নি। ৮০ মিনিটে বুমু এবং জনিকে তুলে পোগবা এবং কার্লকে নিয়ে আসা হয়। ইস্টবেঙ্গল নামায় লিমা এবং তুহিন দাসকে। কিন্তু সবুজ মেরুন ডিফেন্স বিশেষ ভুল করেনি। হ্যাঁমিল, প্রীতম, শুভাশিস, আশিষ ইস্টবেঙ্গল ফরওয়ার্ড লাইনকে সেভাবে বিপদজনক হতে দেননি। শেষ পর্যন্ত জিতল এটিকে মোহনবাগান। এই নিয়ে টানা সাতটি ডার্বিতে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল।