মানবদেহের প্রতিটি শিরা-উপশিরা খোদাই করা দেবীমূর্তিতে। কাঞ্চননগরের মা কঙ্কালেশ্বরী। পূর্ব বর্ধমানের এই মন্দিরের পড়তে পড়তে জড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস, লোকগাথা। কথিত আছে, ১৩২৩ বঙ্গাব্দে দামোদরের তীর থেকে সাধক কমলানন্দ পরিব্রাজক স্বপাদেশ পেয়ে দেবীমূর্তি নিয়ে এসে কাঞ্চনগড়ের এই মন্দিরে তা প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় এখানে কোনও বিগ্রহ ছিল না। সেই পাথরের কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই পুজোর সূচনা। সেই সূত্রেই দেবীর নিত্যপুজো এখানকার রোজকার উপাচার। দেবী এখানে অষ্টভূজা। শিবের নাভি থেকে বেরিয়ে আসা পদ্মে বিরাজমান।
advertisement
পুরাতাত্ত্বিকের মতে, এই মূর্তি বৌদ্ধ বা পাল যুগের। দু হাজার বছরের বেশি প্রাচীন। বন্যার সময় ভেসে এসে থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম এই কঙ্কালেশ্বরী মন্দির। প্রায়ই সারাবছরই এখানে ভিড় জমান ভক্তরা। আর কালীপুজোর সময় তিল ধারণের জায়গা পর্যন্ত থাকে না। প্রায় কুড়ি হাজার ভক্ত অন্নভোগ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন- কমলাকান্তের স্মৃতি বিজড়িত কালীমন্দির, ভক্তের সমাধির উপরেই কালীমূর্তি