তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের পর, তাণ্ডব চলে দলুয়াখাকি গ্রামে। বাড়ি-দোকান ভেঙে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দলুয়াখাকির বহু মানুষ দর্জির কাজে যুক্ত। মেশিন কিনে গ্রামেই দর্জির কাজ করেন তাঁরা। এমন কী ছোট খাটো গোটা দু’য়েক কারখানাও রয়েছে গ্রামে।
প্রায় পনেরোটা সেলাই মেশিন ছিল কারখানায়। এ প্রসঙ্গে কারখানার এক মালিক বলেন ভাঙচুরের সময় কারখানাটাও বাদ দেয়নি। সব মেশিন ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। অনেক অনুরোধ করেছিলাম মেশিনগুলো না ভাঙার জন্য। শোনেনি। আজ খুঁজে খুঁজে কয়েকটা মেশিন উদ্ধার করেছি। সবই পুড়ে-ভেঙে গিয়েছে। কয়েকটা পিছনের পুকুরে পড়েছিল। এ সব মেশিন আর চলবে বলে মনে হয় না।”
advertisement
আলি জানান, জনা পনেরো লোক কাজ করতেন কারখানায়। মূলত জিন্সের প্যান্ট সেলাই হত। সন্তোষপুর থেকে কাপড় এনে এখানে সেলাই করে সরবরাহ করা হত। একেকজন দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা আয় করতেন। বর্তমানে কাজ হারিয়েছেন সকলেই। কয়েকলক্ষ টাকার মাল কারখানায় মজুত ছিল বলে দাবি। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেইসবও। আবার কবে কারখানা খুলবে, আদৌ খুলবে কিনা ঠিক নেই।
সুমন সাহা