অতীতে পাকিস্তান যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বিরুদ্ধে খোলাখুলিভাবে সমর্থন করেছিল পাকিস্তানকে। বিশাল নৌ-বাহিনী পাঠিয়ে ভারতকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছিল আমেরিকা। ভারতের সাহায্যে একদিন পরেই ভারত মহাসাগরে নিজেদের নৌবহর পাঠিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছিল রাশিয়া। রাহুল জানিয়েছেন,'রাশিয়া ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। দু'দেশের সম্পর্ক যদি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় তাহলে তা অদূরদর্শিতার পরিচয় হবে, ভবিষ্যতের জন্য যা ক্ষতিকর পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হবে'। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে অবশ্য রাহুলের তত্ত্বকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে করোনা মহামারীর কারণে এবছর যৌথ সম্মেলন করা হয়নি। দুই দেশ মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাহুল গান্ধি প্রকৃত সত্য না জেনে মন্তব্য করছেন। তাঁর এই মন্তব্য মিথ্যা গুজব, বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক।
advertisement
তবে বিদেশমন্ত্রক যাই বলুন দেশের একটা মহল মনে করছে সম্প্রতি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি কোয়াডের সদস্য হওয়ার কারণেই চটেছে রাশিয়া। এই নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা জানিয়েছিল মস্কো। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কৌশলগত নির্ভরতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ঘুরিয়ে হয়তো তাই জবাব দিল রাশিয়া। চিন এবং ভারতের মধ্যে চলা টেনশন কমানোর জন্য মাঝে রাশিয়া চেষ্টা করেছিল। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হলে সেটা এশিয়ার বিরাট ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছিল মস্কো। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার প্রশ্ন নেই। রাশিয়া ভারতের বন্ধু ছিল, আছে এবং থাকবে। সম্প্রতি ৩৩ টি যুদ্ধবিমান কেনা ছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এস ৪০০ রাশিয়ার থেকে কিনেছে ভারত। রুশ বাহিনী র প্যারেডে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তবে বার্ষিক সম্মেলন বাতিল নিয়ে সরকারিভাবে মস্কোর তরফ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।