এ দিন করোনা অতিমারির জেরে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির প্রসঙ্গে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা জিগ্গেস করেন, কী ভাবে রাজ্যগুলিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবে কেন্দ্র৷ সেই প্রশ্নে পাণ্ডে বলেন, 'কেন্দ্র ও রাজ্যের জিএসটি ভাগ ফর্মুলায় পরিবর্তন করার প্রভিশন জিএসটি আইনে রয়েছে৷ কেন্দ্রের রাজস্ব আদায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের নীচে হলে, সেই ফর্মুলা পরিবর্তন করা যায়৷'
advertisement
গত সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানায়, ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরের জিএসটি-র চূড়ান্ত ইনস্টলমেন্ট ১৩ হাজার ৮০৬ কোটি ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র৷
রাজ্যগুলিকে বকেয়া জিএসটি দেওয়া নিয়ে জুলাইয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল জিএসটি কাউন্সিলের৷ কিন্তু এখনও সেই বৈঠক হয়নি৷
এ দিন স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি, অম্বিকা সোনি, গৌরব গগৈ ও এনসিপি সাংসদ প্রফুল প্যাটেল দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অবলিম্বে আলোচনার দাবি করেন৷
সোমবার মোদিকে মমতা বলেন, 'করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের প্রচুর খরচ হচ্ছে৷ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ৷ কেন্দ্রের কাছে ৫৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে৷ সেই টাকা দয়া করে কিছু কিছু করে মিটিয়ে দিলে ভালো হয়৷ এছাড়া জিএসটি বাবদ এপ্রিল থেকে মে ৪ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা আমরা পাইনি৷ আমফান ঝড়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ হাজার কোটি টাকা পেয়েছি৷ ক্ষতিপূরণে খরচ সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা৷ বাকি টাকা দিলে ভালো হয়৷'