কী হয়েছে ঘটনাটি? জয়পুরে এক গয়নার কারখানায় বিষাক্ত গ্যাসে ভরে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্কে নামিয়ে দেওয়া হয় শ্রমিকদের। সেই গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে চারজন শ্রমিকের। আরও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: দেশে আগে ঢুকেছে বর্ষা! জুনে ভাসবে দেশ, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে বৃষ্টি, সতর্ক করল IMD…
এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে, জুয়েলারি জোনের জি-ব্লকে। মৃতদের নাম সঞ্জীব পাল, হিমাংশু সিং, রোহিত পাল ও অর্পিত যাদব। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজপাল ও অজয় চৌহানকে ভর্তি করা হয়েছে মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে। তবে অমিত পাল ও সুরজ পালকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, সোনার গয়না তৈরির সময় রাসায়নিক বর্জ্যে থেকে যাওয়া সোনা ও রুপোর কণা তুলতেই শ্রমিকদের ১০ ফুট গভীর সেপটিক ট্যাঙ্কে নামতে বলা হয়। প্রথমে ট্যাঙ্কের ভয়ঙ্কর গ্যাস ও তাপ দেখে ভয় পিছিয়ে যান সবাই৷ নামতেও অস্বীকার করে শ্রমিকরা৷ তখন বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের নামানো হয়। এরপরই হয় বিপত্তি৷
আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রার রেজিস্ট্রেশন থেকে প্রসাদ বুকিং! জেনে রাখুন দারুণ কাজের এই ৫ টিপস…
এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, “প্রথমে অমিত ও রোহিত ট্যাংকে নামে, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে যায় তাদের। তারা সাহায্য চাইলে একে একে আরও ছ’জন নিচে নামে তাঁদের বাঁচাতে, কিন্তু প্রত্যেকেই জ্ঞান হারায়। ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসের কাছে হার মানে সবাই৷”
কিন্তু সেপটিক ট্যাঙ্কে থেকে আদৌ সোনার কণা তুলে আনা সম্ভব? পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টা নতুন কিছু নয়৷ গয়নার কারখানায় রাসায়নিক ব্যবহারে যে বর্জ্য তৈরি হয়, তাতে সোনা-রুপোর কণা থাকতে পারে। সেই বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে মূল্যবান ধাতু সংগ্রহ করা হয় – এটি গয়নার শিল্পে প্রচলিত এক পদ্ধতি।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি।