পুরী: ফের বিজেপিশাসিত ওড়িশায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। পুরীর এক ঝাউবনে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণীকে একদল যুবক গণধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। শনিবারের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত বলে দাবি পুলিশের। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিজেডি নেতা তথা ওই এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক সঞ্জয় দাস বর্মা। বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেছেন তিনি। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টানায়ক বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করে বলেন, বিজেপি সরকারের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই ওড়িশার এই পরিস্থিতি।
advertisement
ওড়িশা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্ৰহ্মগিরি থানার অন্তর্গত বালিহার চণ্ডী মন্দির লাগোয়া এলাকায় এক যুবক-যুবতী একান্তে সময় কাটাচ্ছিলেন। সেই সময় একদল যুবক তাঁদের ফটো এবং ভিডিও তুলে টাকা দাবি করে। পুরীর পুলিশ সুপার প্রতীক সিং বলেন, ‘ওই যুবক-যুবতী টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই দলের দুই যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় সোমবার ব্ৰহ্মগিরি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’
সূত্রের খবর, প্রথমে তরুণীর বন্ধুকে মারধর করা হয়। এরপর সি বিচ থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি ঝাউবনে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। তরুণীর বন্ধুকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুরীর পুলিশ সুপার বলেন, ‘ওই তরুণী মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। এক মহিলা পুলিশ আধিকারিকেরা তরুণীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে স্বাভাবিক করেন। অভিযোগ মিলতেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল পুরী থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকায় পর্যটকদের ভিড়ও থাকে না। নির্যাতিতা ও তাঁর বন্ধু, দু’জনেই পুরী জেলার বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, ওড়িশায় বছর খানেক আগে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। তারপর থেকেই বাংলার পার্শ্ববর্তী এই রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।