এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মান মর্যাদা রক্ষায় প্রাণ বলিদান দেয়। দেশের জন্য যারা বাঁচতে চায়, কিছু করতে চায়। ভারতের সৈনিক যখন ভারত মাতা জয় বলে তখন শত্রুদের কলিজা কেঁপে যায়। আমাদের ড্রোন আর মিসাইল যখন শত্রুর ঠিকানায় পৌঁছে যায় তখন বলা হয় ভারত মাতা কি জয়। আমাদের সেনার পরমাণু বোমার ব্ল্যাকমেল অগ্রাহ্য করে বলে ভারত মাতা কি জয়।’’
advertisement
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি, ভেঙেছে হাত-পা…মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ চ্যাম্পিয়ন পবনদীপ!
সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা সব ভারতীয়ের ছাতি ফুলিয়ে দিয়েছেন। মাথা উচুঁ করে দিয়েছেন। সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই প্রণাম করতে এসেছি বীরেদের। আপনারা দেশকে গর্বিত করেছেন। আজ থেকে বহু বছর পরেও যখন এই পরাক্রম নিয়ে আলোচনা হবে, তখন আপনারা মনে রাখবেন আপনাদের কাজ। আপনারা এখন দেশবাসীর প্রেরণা। সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা, বিএসএফকে আমি স্যালুট জানাই।’’
অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে এদিন নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘আপনাদের কারণেই অপারেশন সিঁদুরের বীরগাথা সবাই শুনতে পাচ্ছে। সব ভারতীয়র প্রার্থনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আপনারা ইতিহাস রচনা করেছেন। এটা সামান্য অপারেশন নয়। এটা ভারতের নীতি, নির্ণয় করেছে। ভারত বুদ্ধর মাটি আবার গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মাটিও। আমাদের বোন-কন্যার সিঁদুর যখন ছিনিয়ে নিয়েছিল। তখন ওদের শিক্ষা দিতে ওদের ঘরে ঢুকে ওদের নিকেশ করেছি।’’
মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযানে সফল অপারেশন সিঁদুর। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা ওদের সামনে থেকে আক্রমণ করে মেরেছেন। আতঙ্কবাদীদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ভারতের দিকে তাকালে তার সাজা হবে কঠোর। একটাই মন্ত্র হবে বিনাশ ও মহাবিনাশ। ভারতের সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা পাকিস্তানের সেনাকেও ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। ওদের সেনাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে আতঙ্কবাদীরা বসে নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস নেবে। ওদের ঘরে ঢুকে মারব। আমাদের ড্রোন আর মিসাইল দেখে ওদের রাতে ঘুম আসবে না।অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে দেশের একতার সূত্র রচিত হয়েছে। আর আপনারা দেশের সীমা রক্ষা করেছেন। সম্মান আরও উচুঁ করেছেন। আমাদের বায়ু সেনা যেভাবে ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে সীমা পেরিয়ে যেভাবে পিন পয়েন্ট টার্গেট করে ওদের গভীরে গিয়ে ক্ষতি করেছেন সেটা একমাত্র প্রফেশনালরাই করতে পারে। ওরা বুঝতেই পারেনি ওদের বুকের ওপর কি হয়েছে। ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে।’’