প্রথাগত পদ্ধতিতে চাষ করে অনেক কম আমন ধান ফলছিল। আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকের বানিয়াগাঁও এলাকায় আদিবাসী মহিলারা বেশি পরিশ্রম করলেও তেমন লাভ পাচ্ছিলেন না। পুরনো পদ্ধতিতে আমন ধান চাষে পরিচর্যাও বেশি করতে হত। আদিবাসী মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। কৃষি দফতরের সহযোগিতায় নতুন পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ করছেন তাঁরা। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাও।
advertisement
নতুন পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ
----------------------------------
আধুনিক ‘শ্রী’ পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ
পুরোন পদ্ধতিতে ৪-৫ টি চারা রোপণ করে ১০-১২টি ধানের শিষ পাওয়া যায়, নতুন শ্রী পদ্ধতিতে ১টি চারা রোপণ করে ৫০-৬০ টি ধানের শিষ পাওয়া যায় সার, জল, বীজ কম লাগছেআত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য করছে কৃিষ দফতর ৷
সোনামণি, সুশীলাদের মত আদিবাসী মহিলারা আগে েপটভরে খেতে পেতেন না। নুন আনতে পান্তা ফুরোত। নতুন শ্রী পদ্ধতিতে সংসারে শ্রী ফিরেছে। এখন একবেলা নয়, তিনবেলা জুটছে খাবার। ছেলে-মেয়েরাও স্কুলে যাচ্ছে।
শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখছে অসম-বাংলা সীমান্তের শামুকতলার বানিয়াগাঁও গ্রামের আদিবাসী মহিলারা । আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর হয়েছেন তাঁরা। অভাব ভুলে নতুন উদ্যমে ধান চাষ করছেন মহিলারা ৷