স্টেশনের নাম বরাভূম, কিন্তু শহরের নাম বলরামপুর। এখান থেকেই পারডির পথে যাত্রা শুরু। এই রাস্তাটাই গিয়েছে মাঠা হয়ে অযোধ্যা পাহাড়ের দিকে। ডাইনে সবুজ উপত্যকা, মাঝেমাঝে গ্রামের ঘর-বাড়ি! বায়ে যতদূর চোখ যায় শাল, পিয়াল, পলাশ, মহুয়ার জঙ্গল। পিছনে মাথা উঁচিয়ে একা একটা পাহাড়। নীচের দিকটা সবুজ হলেও ওপরে ন্যাড়া পাথর বেরিয়ে রয়েছে। ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখবেন, পাথরে সাদা রঙ দিয়ে অনেক উড়ন্ত পাখির ছবি আঁকা। এটাই পাখি পাহাড়। এরপর একটা আদিবাসী গ্রাম পরে।
advertisement
পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার দুটি যমজ গ্রাম-- পারডি ও চিরুগোড়া। পারডি ড্যামের বাঁ দিক থেকে একটা পাহাড় জলে নেমে গিয়েছে। উলটো দিক সবুজ জঙ্গলে মোড়া। এখান থেকে রাস্তা উঠে গিয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ের মাথায়। পারডি থেকে অনায়াসেই বেরিয়ে আসা যায় মাঠা বা মুখোশের গ্রাম চড়িদা।
কীভাবে যাবেন- হাওড়া থেকে রাতের চক্রধরপুর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার বা সকালের রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে বরাভূম। স্টেশন বা বলরামপুর শহর থেকে গাড়ি ভারা করে পারডি যেতে লাগে এক ঘন্টার মতো।
কোথায় থাকবেন- একটাই মাত্র থাকার জায়গা--গোর্গাবুরু রিসর্ট। যোগাযোগ- শুভ গুহ রায়। ফোন: ৯৪৩৩২ ৪৫০৭৩/ ৮৪২০১ ৬০৫৩৩। কিছুটা দূরে মাঠা রেঞ্জ অফিসের চত্বরে বনবিভাগের গাছবাড়ি বা মাঠা গ্রামবাসীদের হোমস্টে-তেও থাকা যায়।