এমনই একটি গাছ আমাদের বহু পরিচিত। এই গাছটির নাম বট। বৈজ্ঞানিক নাম Ficus Bengalensis। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বট গাছকে পবিত্র বলে মনে করেন। ভারতবর্ষের সব প্রদেশেই বটগাছ দেখা যায়। পুরনো কলকাতার বহু বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ওঠে বট। ঝুরি নামায় চারপাশে।
কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই গাছে লুকিয়ে রয়েছে ঔষধিগুণ। এর শিকড় থেকে পাতা পর্যন্ত—প্রতিটি অংশই নানা ধরনের গুরুতর রোগ নিরাময়ে একটি মহৌষধি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। জেনে নেওয়া যাক বট গাছের কোন অংশ কোন রোগের নিরাময় করতে পারে—
advertisement
উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক সিএল নিগওয়াল বলেন, এই বট হল এমন একটি গাছ, যাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পাওয়া যায়। এছাড়া এতে হেনসেন, বুটানাল, এগিন অ্যালবুমিন, ম্যালিক অ্যাসিড, হাইপোগ্লাইসেমিক-এর মতো অনেক উপাদান রয়েছে। এগুলি মানবদেহের অনেক মারাত্মক রোগ দূর করতে সহায়ক। গাছের বাকল, পাতা এবং শিকড় বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় লাগে।
পাতার ব্যবহার—
বিশেষজ্ঞরা বলেন, চর্মরোগের ক্ষেত্রে খুবই ভাল কাজ করতে পারে বট গাছের পাতা। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি গাছের পাতার ক্বাথ বানিয়ে ফোঁড়া, ফুসকুড়ি এবং চুলকানির জায়গায় লাগান, তাহলে তিনি তাৎক্ষণিক উপশম পাবেন।
আবার গাছের নরম ছোট পাতা, শিকড় এবং বাকল মিশিয়ে একটি ক্বাথ তৈরি করে পান করলে পেটের রোগ, ডায়রিয়া ও আমাশয় নিরাময় হয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও এটি উপকারী।
মূলের ব্যবহার—
বটগাছের মূলে এক বিশেষ ধরনের অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা খুবই উপকারী। এই গাছের ঝুরি দন্তমঞ্জন হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তার ফলে দাঁত ও মাড়ি মজবুত হয়। এই ঝুরি সেবনে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যাঁরা গাঁটের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা এই গাছের পাতা সেবন করলে ব্যথা উপশম হতে পারে। গাছ থেকে প্রাপ্ত দুধে উপস্থিত রাসায়নিকের কারণে এটি মলম হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।