স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর সোনামুখীর পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পালপুকুর গ্রামের বর্ষা নায়েক নামের এক প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তাঁকে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সময় প্রসূতির ইউএসজি করিয়ে আনার কথা বলা হয়েছিল। হাসপাতালের বাইরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ইউএসজি করানো হলে সেখান থেকে ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রসূতির গর্ভে যমজ সন্তান থাকলেও ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে একটি সন্তানের কথা জানানো হয়। পরে রোগীর পরিজনেরা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যমজ শিশুর কথা বললে সেন্টারের তরফে ভুল স্বীকার করে পুনরায় ইউএসজি করা হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসপাতালের চিকিৎসক প্রসুতির পরিজনদের জানান প্রসবের এখনো সাত দিন দেরি আছে। প্রসূতিকে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গতকাল ফের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হতেই প্রসূতিকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই প্রসূতি পরপর দুটি মৃত শিশু কন্যা প্রসব করেন। আর এরপরই রোগীর পরিজনেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
advertisement
তাঁদের অভিযোগ, একদিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল ইউএসজি আর অন্যদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলাতির কারনে গর্ভাবস্থাতেই ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে রোগীর পরিজনেরা। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছে। এদিকে হাসপাতালের অব্যবস্থা ও চিকিৎসায় গাফিলাতি বন্ধের দাবিতে গতকাল রাতে প্রসুতির পরিজনদের বিক্ষোভে সামিল হয় স্থানীয় বিজেপি নেতা, কর্মীরাও। বিজেপির দাবি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যাণ তথা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের মদতেই হাসপাতাল জুড়ে এমন অব্যবস্থা চলছে।
অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘একই সঙ্গে যমজ শিশুর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বিজেপি এখন যাই হোক সরকারের বদনাম করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যতদূর শুনেছি ওই প্রসুতির ইউএসজি বাইরে হয়েছিল। কোনও ক্ষেত্রে গাফিলাতি হয়েছে তা নিশ্চয়ই তদন্ত করে দেখা হবে,দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।’
