আইন কলেজে ছাত্রীর উপরে গণধর্ষণের ঘটনায় এমনিতেই বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ তার মধ্যে গতকাল দলের অন্যতম সিনিয়র সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে আরও অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস৷ এ দিন আবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র৷
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেছিলেন, ‘বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে তাহলে পুলিশ কীভাবে নিরাপত্তা দেবে? কলেজের ভিতরেও কি পুলিশ রেখে দেওয়া সম্ভব?’ শ্রীরামপুরের সাংসদের এই মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই এ দিন আবার বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘ওই ছাত্রী যদি ওখানে না যেতেন তাহলেই আর কিছু ঘটত না৷’
advertisement
কল্যাণ এবং মদনের মন্তব্যকে অস্ত্র করে নতুন করে শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় বিরোধীরা৷ এ দিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানানো হয়, ‘দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে যে ঘৃন্য ঘটনা ঘটেছে, সেই প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্য সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত মত৷ এই ধরনের মন্তব্য থেকে দল সম্পূর্ণ ভাবে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করছে এবং তার নিন্দা করছে৷ এই ধরনের মন্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না৷’
আমাদের দৃঢ় অবস্থানই বজায় থাকছে৷ মহিলাদের উপরে অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি এবং এই ঘৃন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি দাবি জানায় দল৷
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দলের দুই সাংসদ এবং বিধায়ক বিঁধেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতে সব রাজনৈতিক দলের ভিতরেই নারী বিদ্বেষ রয়েছে৷ তফাত হল এই ধরনের বিরক্তিকর মন্তব্য কারা করছেন, নাম না দেখেই তার নিন্দা একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই করে৷’