বিএলও হিসেবে কাজ করার জন্য মূলত স্কুল শিক্ষকদেরই বেছেছে নির্বাচন কমিশন৷ বিএলও-দের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুলের শিক্ষকতার কাজ শেষ করার পর বাড়ি ফিরে বিএলও হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন৷ যদিও কমিশনের এই প্রস্তাবে নারাজ বিএলও-রা৷ তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, অনেক শিক্ষকেরই স্কুল বাড়ি থেকে অনেক দূরে৷ সেখান থেকে ফিরতেও সন্ধে হয়ে যায়৷ সেক্ষেত্রে সন্ধের পর তাঁরা কীভাবে বিএলও হিসেবে কাজ করবেন? বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিএলও হিসেবে কাজ করার সময় তাঁরা শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না৷
advertisement
পাশাপাশি বিএলও-দের আরও প্রশ্ন, সন্ধের পর বিএলও হিসেবে কাজ করতে গেলে তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে? বিএলও-দের দাবি, এ দিন প্রশিক্ষণ শিবিরে তাঁরা এই প্রশ্নগুলিই তুলেছিলেন৷ যদিও সেই প্রশ্নের সদুত্তর দেননি নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা৷ এর পরই নজরুল মঞ্চের মূল মঞ্চে উঠে কমিশনের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিএলও-রা৷
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ৷ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করে পুলিশ৷ প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ভাগে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে বিএলও-দের আশ্বস্ত করা হয়৷
এ দিকে বিএলও-দের এই বিক্ষোভের কথা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেও পৌঁছেছে৷ বিএলও-দের ক্ষোভ প্রশমনে তাঁদের এই দুটি দাবি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হচ্ছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতরের পক্ষ থেকে। কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছিল, বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যখন এসআইআর-এর কাজ করবেন, তখন তাঁরা শুধুমাত্র সেই কাজটাই করবেন। কিন্তু এই তথ্য কোনও নির্দেশিকায় উল্লেখ করেনি কমিশন। আর তাই এই ইস্যু জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানাবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
