জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী শঙ্কর দলপতি জানালেন, ‘‘১৯৫৯ থেকে ঘাটালের এই বন্যার সমস্যা। কেন্দ্র ও রাজ্যের পঞ্চাশ শতাংশ করে আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কথা। কিন্তু কেন্দ্র অর্থ দিলেও রাজ্য বিগত ৪০ বছর ধরে কিছু করছে না।’’ প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। রাজ্য এবং ক্যাগ আলাদা আলাদা রিপোর্ট এদিন আদালতে পেশ করে। রিপোর্টে অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘প্রাথমিকে সেমিস্টার চলবে না’, নবান্নে শিক্ষামন্ত্রীকে ধমক দিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
প্রায় প্রতি বছরই বন্যার কবলে পড়ে ঘাটাল। এদিন প্রধান বিচারপতি বন্যার বিষয়ে মন্তব্য, ‘‘কবে শেষ হবে (মাস্টার প্ল্যান)? কীভাবে বন্ধ করা যাবে বন্যা’’? ‘‘ রাজ্যের রিপোর্টে কত পোশাক দেওয়া হয়েছে, কত জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্ট। কিন্তু পাকাপাকি ভাবে কীভাবে বন্যা আটকানো যায় সেই কাজ কতটা কী হয়েছে? অবৈধ দখলদার সরানো, এবং নদীবাঁধ তৈরির কাজ কী হল?’ প্রশ্ন প্রধান বিচারপতি’র।
আইনজীবী শঙ্কর দলপতির মন্তব্য, ‘‘এটা রাজ্য ও কেন্দ্রের সমান সমান টাকার প্রকল্প। আজকের রিপোর্টে ২০১৯ সালের সিএজি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটির প্রজেক্ট!’’
এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘কিন্তু কাজ কবে হবে? এত কাজ হতে হতে পরের বছরের বন্যা শুরু হয়ে যাবে!’’
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতেই সূর্য-বুধের মহামিলন! বুধাদিত্য রাজযোগে ৪ রাশির গোল্ডেন টাইম শুরু, টাকার বন্যা
প্রসঙ্গত, মুলত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া ও হুগলির বন্যা পরিস্থিতি আটকাতে এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। নদীবাঁধে ভাঙন আটকাতে নতুন নদীবাঁধ তৈরির প্রকল্প। পাকা ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু বন্যা হলে কিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, রিপোর্টে সেটাই জানানো হয়েছে ।