এদিন ক্রোয়েশিয়ার শুরুটা দেখে ম্যাচ তাদের ঝোলায় যাবে এমনটাই মনে হচ্ছিল ৷ একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পরছিল ফ্রান্স গোল দুর্গের মধ্যে ৷ কিন্তু ১৮ মিনিটে প্রথম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটে যায় ৷ গ্রিজম্যানের দারুণ মাপা ফ্রি কিক নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন ক্রোট স্ট্রাইকার মান্দজুকিচ ৷ এরপর ২৮ মিনিটে সমতা ফেরান পেরিসিচ ৷ ভিদার বাড়ানো বল মাপা বাঁ পায়ের শটে গোলে ঢুকিয়ে দেন তিনি ৷ খেলা হয় ১-১ ৷ একের পর আক্রমণে ফরাসি রক্ষণে ত্রাস ধরিয়ে দেওয়া ক্রোয়েশিয়া ফের ভুল করে ৷ পেরিসিচের হ্যান্ডবলের খেসারত দিতে হয় দলকে ৷ পেনাল্টি থেকে গোল করে যান ফরাসি তারকা গ্রিজম্যান ৷
advertisement
২-১ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ৷ দুটো ‘পরে পাওয়া চোদ্দ আনা গোলে’ -র পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঝাঁঝ দেখাতে শুরু করে ফ্রান্স ৷ প্রথমার্ধের নির্বিষ ও নিষ্প্রভ লেস ব্লুজ-রা অন্য অঙ্ক কষেই খেলতে নেমেছিল ৷ ফল হাতে নাতে ৫৯ মিনিটে দুরন্ত গোল পল পোগবার ৷ গোল করান এমব্যাপে ৷
টিন এজার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে প্রথম গোলের মালিক হলেন এমব্যাপে ৷ তখন খেলা গড়িয়েছে ৬৫ মিনিটে ৷ ফের জাত চেনালেন তরুণ তুর্কি ৷
এরপরেও অবশ্য ক্রোয়েশিয়া মরিয়া চেষ্টা ছাড়েনি ৷ ৬৯ মিনিটে মান্দজুকিচ একটি গোল শোধ করে ব্যবধান কমান ৷ কিন্তু ফ্রান্সের থেকে কাপ ছিনিয়ে নিয়ে আসার জন্য সেই চেষ্টা যথেষ্ট ছিল না ৷ এদিন ক্রোয়েশিয়া যেন মহাভারতের কর্ণ ৷ তারা লড়ল, মন জিতল কিন্তু ভাগ্যদেবী সহায়ক ছিলেন না ৷ দুই তারকার ভুলের খেসারত আর তাঁদের গোল দিয়ে পূরণ হল না ৷
ব্রাজিল ১৯৭০-র বিশ্বকাপে ৪-১ হারিয়েছিল ৷ ১৯৬৬ তে ইংল্যান্ড তদানীন্তন ওয়েস্ট জার্মানির বিরুদ্ধে ৪-২ এই স্কোরলাইনেই জিতেছিল ৷ আর সেই ১৯৬৬ -র পুনরাবৃত্তি করল ফ্রান্স ৷ ১৯৯৮ সালে জিদানের ফ্রান্স যা করেছিল তাই করে দেখাল গ্রিজম্যানের দল ৷ ২০ বছর আগের স্বপ্ন আরও একবার ছুঁয়ে ফেলল তারা ৷
অন্যদিকে ‘বাজিগর’- ক্রোয়েশিয়া রানার্স হল ৷ বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে মাইলস্টোন পারফরম্যান্স ৷ তবে কাপ ঘরে গেল না ৷