আরও পড়ুন: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মুম্বইয়ের প্যাটেল চেম্বারে, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন
শুধু আলিপুর জেল নয়, রাজ্যের প্রায় সব জেলের ছবিটাই এমন। জেলে মদ, গাঁজা, মোবাইল, বাড়ির কাবার, সব পাওয়া যায় টাকা দিলেই । সেলেরই সিনিয়র কর্মীদের একাংশের সহযোগিতায় চলে লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার । তবে, একজন চিকিৎসক এই কাজে যুক্ত হবেন এটা নজিরবিহীন । এই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে জেলচক্রের । তবে এটাও প্রশ্ন কাদের জন্য এসব নিয়ে যাচ্ছিলেন ? কারা ওনাকে এসব জিনিস নিয়ে যেতে বলল ? বড় কোনও মাথা জড়িত ? কতদিন ধরে চলছে এই কারবার ? কোন কোন অপরাধীদের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন ? প্রায় ১০বছর ধরে এই জেল হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত অমিতাভ। কবে থেকে সে এমন বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত ৷ সেটি এখনও জানা যায়নি ৷ পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে ৷
advertisement
আলিপুর সংশোধনাগারে গতকাল রাত ১০.৩০টা নাগাদ ডাক্তার অমিতাভ চৌধুরী, জেল হাসপাতাল, এক্স আর্মি, জেলে ঢোকার সময়, জেলের ডিআইজি বিপ্লব দাস কাছে খবর ছিল আগে থেকে সন্ধে থেকে গাড়ি নিয়ে বসেছিলেন । পরে ১০.৩০টা নাগাদ ঢোকার সময় ডিআইজি-ও ঢোকেন । সেই সময় ডিআইজি এবং চিকিৎসককে তল্লাশি করা হয় ৷ অমিতাভ রায়চৌধুরীকে পরীক্ষায় সময় দু’টি ব্যাগ পাওয়া যায় । ব্যাগে দুটি মদের বোতল, দু’কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা । ১০প্যাকেট হেরোইন । ১৪ হিটারের কয়েল । ৩৭টি মোবাইল । ৩৭ টি চার্জার । ৩৭ টি হেডফোন । ছোট ছুরি ও কাঁচি ছিল ৫ থেকে ৬ পিস। জামার চোরাই পকেটে দুহাজার টাকার নোটে ১ লক্ষ টাকা । জামার অন্যান্য পকেট থেকেও আরও ৪৫ হাজার টাকা মেলে।
গতকাল বিকেলেও রহিম আলি নামে এক ডাকাতি মামলায় অভিযুক্তের থেকে গাঁজা উদ্ধার হয়। আলিপুর আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে জুতোর সোলে গাঁজা নিয়ে পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে ।