উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির সারভাতপুর গ্রামের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি ধীরজের সঙ্গে ওই গ্রামের বাসিন্দা রোলি গিরির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনেই গত ১৪ মার্চ লখনউতে এসে আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন। এর পরে, তাঁরা লখনউয়ের মাদিয়ানভের এলডেকো গ্রিনে ভাড়ায় থাকতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ঘরে মৃতদেহের সারি, পড়ে ৪ লাশ! দুর্গাপুরে হাড়হিম কাণ্ড, আসল ঘটনা জানলে ভয়ে কাঁপবেন
advertisement
রোলি জানান, ১৮ মার্চ ধীরজ তাঁকে ঘরে তালা দিয়ে হলের মধ্যে আত্মহত্যা করেন। রোলি দাবি করেন, যে তিনি কোনও ভাবে দরজা ভেঙে ধীরজকে ঘর থেকে বের করে আনেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে ধীরজকে বলরামপুর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে দু'দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মারা যান ধীরজ।
আরও পড়ুন: জাগ্রত কালী মন্দিরে এ কী দৃশ্য, সিসিটিভিতে ধরা পড়ল মারাত্মক কাণ্ড!
ধীরজের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে রোলি তাঁর শ্বশুর সুনীলকে ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর ধীরজ ও রোলির স্বজনরা হাসপাতালে পৌঁছন। ধীরজের স্বজনরা পুত্রবধূ ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ছেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। প্রেম করে বিয়ে করায় তাঁর শ্যালককেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এই কারণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ধীরজ। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যাকেই মৃত্যুর কারণ বলা হচ্ছে।
অঞ্জলি সিং রাজপুত