TRENDING:

চোর খুঁজতে নতুন পন্থা! বেকারির মালিক কুকিজে ছাপিয়ে দিলেন চোরের ছবি, তারপর?

Last Updated:

চোর ধরতে এই বিশেষ পন্থা অবলম্বন করলেন এক বেকারি মালিকরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#ওয়াশিংটন: কথায় আছে ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে’। কিন্তু এই বুদ্ধি যে একেবারে অভিনব তা যেন বলার আর অপেক্ষাই রাখে না। কোনও কিছু চুরি গেলে আমাদের চোর ধরার জন্য প্রথমেই মনে আসে পুলিশের কথা। কিন্তু চোর ধরতে এক বিশেষ ধরনের 'কুকিজ' (Cookies) বানানোর কথা কি কখনও ভেবেছেন? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। চোর ধরতে এই বিশেষ পন্থা অবলম্বন করলেন এক বেকারি মালিকরা।
advertisement

১৯ এপ্রিল ওয়াশিংটনের মিলওয়াকি (Washington's Milwaukee) শহরে ক্যানফোরা (Canfora) বেকারিতে ঢুকে নগদ টাকা সহ অন্যান্য সরঞ্জাম চুরি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যদিও চুরির মূল সন্দেহভাজনের ছবি ধরা পড়ে CCTV ক্যামেরায়। এর পরেই অপরাধীদের খুঁজে বের করতে ওই বেকারি মালিকদের মাথায় আসে এক বিশেষ ফন্দি।

ডাকাতরা ১৯ এপ্রিল ক্যানফোরা বেকারিতে প্রবেশ করে নগদ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি নিয়ে যায়। যাই হোক, চুরির মূল সন্দেহভাজনের একটি ছবি আউটলেটে CCTV ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল এবং মালিক অপরাধীদের খুঁজে বের করতে এই ট্রেইলটি ব্যবহার করেছিলেন। CCTV থেকে পাওয়া চোরের ওই ছবিটি স্পষ্ট নয়। একটি ছবিতে কেবল মাত্র পিছনের থেকে তার মুখের অর্ধেক অংশই দেখা যাছে এবং অন্য একটি ছবিতে তার মুখটি দৃশ্যমান।

advertisement

এর পর বেকারির মালিক কারেন (Karen) এবং এরিক ক্রেইগ (Eric Kreig) ঠিক করেন, তাঁরা কুকিজে চোরের ছবিগুলি প্রিন্ট করবেন এবং এই কুকিজগুলির নাম দেবেন ‘অপরাধ থেকে একটি কামড় নিন’ (Take a Bite Out of Crime)। ওই কুকিজে অপরাধীর পাওয়া দু'টি ছবি মাঝখানে ছাপা হয়েছিল। এবং চারপাশে দেওয়া হয়েছিল বাটারক্রিম।

মে মাসের ২ তারিখে এই কুকিজগুলি স্থানীয়দের বিক্রি করা হয়। লোকটির ছবি দেখে পাছে সাধারণ মানুষ তাকে চিনতে পারে, সেই আশা নিয়েই তাঁরা কুকিজগুলি বিক্রি করতে শুরু করেন তাঁরা।

advertisement

তবে এর আগের দিন তথা ১ মে, ওই বেকারি থেকে Facebook-এ একটি পোস্ট করা হয়। যেখানে চোর ধরতে তাঁদের নেওয়া অভিনব পদক্ষেপ তথা তাঁদের বানানো কুকিজগুলি কেনার জন্য সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রন জানানো হয়।

তবে বেকারির দ্বারা করা এই প্রচেষ্টা একেবারে বৃথা যায়নি। বহু মানুষ এই কুকিজগুলি কিনেছেন এবং Facebook পোস্ট দেখে অনেকেই পুলিশে পর্যন্ত ফোন করেছেন। এক সপ্তাহ পরে, পোস্টারে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সনাক্ত করে পুলিশ। যদিও এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Facebook-এ ওই বেকারির তরফে করা পোস্টে পরে আবার কমেন্ট করে সন্দেহভাজনকে সন্ধানে সহায়তা করায় সকল ক্রেতাকে ধন্যবাদ জানানো হয় ক্যানফোরা বেকারির তরফে।

বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
চোর খুঁজতে নতুন পন্থা! বেকারির মালিক কুকিজে ছাপিয়ে দিলেন চোরের ছবি, তারপর?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল