প্রতারক আলাদা। কিন্তু, প্রতারণার পদ্ধতি এক। কলকাতা পুরসভার নামে ভুয়ো ইমেল আইডি খুলেছিলেন কসবার দেবাঞ্জন দেব। যাতে বিশ্বাসের জাল বুনে সহজেই মানুষকে বোকা বানানো যায়। একই পথের পথিক সনাতনও। তদন্তে নেমে সনাতনের দু’টি ইমেল আইডির খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
সূত্রের দাবি, ইমেল আইডি দু’টি দেখলে সরকারি ইমেল আইডি বলে ভুল হতেই পারে। একটি ইমেল আইডি সরকারি টেন্ডার সংক্রান্ত। অন্যটি আইন সংক্রান্ত।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি টেন্ডার পাশ করিয়ে দেওয়ার নাম করেও টাকা তুলেছেন সনাতন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সনাতনের মোবাইল ফোন থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন মিলেছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিচিত মহলে নিজেকে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলে পরিচয় দিতেন সনাতন।
সিবিআই যদিও জানিয়ে দিয়েছে, সনাতনের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ সূত্রের দাবি, সনাতনের কাছে এমন কিছু নথি মিলেছে যাতে তাঁর পরিচয় কেন্দ্রীয় সরকারের কৌঁসুলি। সত্যি না জাল? জানতে আইন মন্ত্রককে চিঠি কলকাতা পুলিশের। সনাতনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের, তা হল তাঁর টাকার উৎস। ব্রিকস থেকে ইন্দো-জাপান সামিট। একাধিক বার বিদেশ সফরে গিয়েছেন সনাতন। কিন্তু, বিদেশ সফরের জন্য টাকা কোথা থেকে পেতেন? কতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে? কতজনকে প্রতারণা করেছেন?
সনাতনের বিরুদ্ধে তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক ব্যক্তির নাম। বিশ্বজিৎ সাঁতরা। অভিযোগ, সনাতনের প্রতারণা চক্রে ছিলেন এই বিশ্বজিৎ। তাঁদের প্রতারণার জাল ছড়িয়ে বাংলাদেশেও। ভুয়ো আধিকারিক এবং ভুয়ো সংস্থার নামে টাকা তুলতেন তাঁরা।
সনাতনকাণ্ডে মিলেছে রাজনীতি-যোগও। সনাতনের থেকে বাজেয়াপ্ত বিজেপির ভিজিটিং কার্ড এবং দলীয় সদস্যপদের রসিদ। সূত্রের খবর, এ নিয়ে বিজেপিকে চিঠি দেবে কলকাতা পুলিশ। জানতে চাইবে এই ব্যক্তির সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা।