কিন্তু নিজের রান্না করার প্রতি আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে সফল উদ্যোগপতি হয়ে ওঠার দৃষ্টান্ত অনেক মহিলাই তৈরি করেছেন। নানা রাজ্যে ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগগুলিতে এর উদাহরণ পাওয়াই যায়।
মহারাষ্ট্রের অনেক মহিলাও এভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। প্রীতম যাদব তেমনই একটি নাম। যিনি নিজের আগ্রহে ৫৬ ধরনের আচার তৈরি করেছেন। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে তাঁর রোজগার।
advertisement
যেকোনও ভারতীয় পরিবারে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আচার বা চাটনি রাখা হয়। এই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই ব্যবসা শুরু করেন প্রীতম যাদব। মহারাষ্ট্রের লাতুরে তাঁর বাস। সেখান থেকেই শুরু হয় ব্যবসা। এখন শুধু লাতুরে নয়, বরং গোটা মহারাষ্ট্রে এই আচারের চাহিদা তৈরি হয়েছে।
প্রীতম যাদবের রান্নার শখ দীর্ঘদিনের। বাড়িতে নতুন নতুন খাবার তৈরি করে পরিবারের সকলকে তাক লাগিয়ে দিতেন তিনি। আচার নিয়েও চলত পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এভাবেই একদিন উপলব্ধি করতে পারলেন প্রায় ৫৬ রকমের আচার তৈরি করতে পারেন। সেই থেকেই ব্যবসা করার কথা মনে হল।
ব্যাপক চাহিদা—
একেবারে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে এই সব আচার তৈরি করেন প্রীতম। স্বাদে গন্ধে বাজারজাত আচারের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই বাজারে তাঁর তৈরি আচারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাজারে আমলকি, ভেজা হলুদ, রসুন, সবজি, লেবুর আচারের চাহিদাই সব থেকে বেশি।
আচার তৈরির পদ্ধতি
সাধারণত খোলা বাজারে যেসব আচার পাওয়া যায় তাতে সামান্য হলেও ভোজ্য রং ব্যবহার করা হয়। যা আদতে রাসায়নিক। কিন্তু প্রীতম যাদব সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে আচার তৈরি করেন।
লবণ, মরিচ ও মশলা দিয়েই তৈরি হয় আচার। ব্যবহার করা হয় ভেজালবিহীন ভাল তেল।
গৃহিণীর ব্যবসা—
প্রীতম যাদব এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন করোনা অতিমারির সময়, যখন সমস্ত ব্যবসা লাটে উঠেছে। সমাজের সকল শ্রেণির কথা বিবেচনা করে তিনি শুরু করেন ‘সুগরণ’। এখানে ৫৬ রকমের আচার পাওয়া যায়। নিজের কর্মসংস্থান তো বটেই, প্রীতম তৈরি করেন অনেক মহিলার উপার্জনের সুযোগও।