বাংলা-বিহার সীমানা সংলগ্ন আসানসোল। ব্যস্ত শহরে এটিএমের সংখ্যা কম নয়। সম্প্রতি কলকাতায় স্কিমিংয়ের মাধ্যমে এটিএম জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ৷ টিভি, খবরের কাগজের দৌলতে সে খবর আসানসোলেরও অজানা নয়। তবু রক্ষী নেই আসানসোলের বহু এটিএমেই। রাষ্ট্রায়ত্ত হোক বা বেসরকারি। ঢিলেমির ছবিটা ধরা পড়ল সর্বত্রই। অরক্ষিত এটিএমে টাকা তুলতে ভয় পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: দাশপুর প্রতারণা কাণ্ডে গ্রেফতার ভারতী ঘোষের স্বামী এমএভি রাজু
গ্রাহক উজ্জ্বল মিশ্র বলছেন, ‘‘এখানে কোনও নিরাপত্তা নেই। একবার চুরিও হয়েছে। আমরা বারবার গার্ড দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।’’ ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনের নেতা সন্দীপ পাল বলছেন, ‘‘এটিএম কখনই রক্ষীহীন থাকা উচিত নয়। আমরা বরাবরই নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছি।’’
আসানসোলে এটিএম কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ বহু পুরোন। ভুয়ো ফোনে এটিএম কার্ডের পিন আদায় করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। নাম জড়িয়েছে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার । এই জামতাড়ার হ্যাকাররাই অমিতাভ বচ্চন ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীয়ূষ গয়ালের এটিএম কার্ড হ্যাক করেছিল। যদিও আসানসোল পুলিশের আশ্বাস, ইতিমধ্যেই এটিএমগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। চিহ্নিত করা হচ্ছে রক্ষীবিহীন এটিএম। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যাতে দ্রুত সেগুলিতে রক্ষী নিয়োগ করে, স্থানীয় থানাগুলিকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।