একই নাম, একই নম্বর! দেশের ৩ স্টেশনে একসঙ্গে আসে 'একটাই' ট্রেন! কী ভাবে সম্ভব রেলের এই 'ম্যাজিক'?

Last Updated:
Indian Railways: ট্রেনের একই নাম, একই নম্বর — আর তা তিনটি আলাদা স্টেশনের উপর দিয়ে একসঙ্গে যাচ্ছে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই সত্যি। জেনে নিন এই ‘ম্যাজিক’ কীভাবে সম্ভব হয়!
1/7
একই নাম, একই নম্বর, অথচ সেই একই ট্রেন একসঙ্গে তিনটি আলাদা স্টেশনে চলতে পারে—এটা শুনে প্রথমে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ভারতীয় রেল ব্যবস্থার একটি বাস্তব ঘটনা। কোনও জাদুবিদ্যার ছোঁয়া নেই এখানে, বরং এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ পরিকল্পনা, বিশাল ব্যবস্থাপনা ও রেলের সময়সারণির কৌশলী হিসেব।
একই নাম, একই নম্বর, অথচ সেই একই ট্রেন একসঙ্গে তিনটি আলাদা স্টেশনে চলতে পারে—এটা শুনে প্রথমে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ভারতীয় রেল ব্যবস্থার একটি বাস্তব ঘটনা। কোনও জাদুবিদ্যার ছোঁয়া নেই এখানে, বরং এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ পরিকল্পনা, বিশাল ব্যবস্থাপনা ও রেলের সময়সারণির কৌশলী হিসেব। (Representative Image: AI)
advertisement
2/7
বর্তমানে ভারতীয় রেলের অধীনে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে রয়েছে বন্দে ভারত, শতাব্দী, রাজধানী, এক্সপ্রেস, মেল, প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন। এই বিপুল সংখ্যক ট্রেনের ভিড়ে একটি বিশেষ ট্রেন রয়েছে, যা অসম থেকে রাজস্থানের পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা শহর পর্যন্ত যায়। এই ট্রেনের নাম ও নম্বর এক, তবু তা তিনটি আলাদা স্টেশনে একসঙ্গে অবস্থান করতে পারে। কীভাবে এমন সম্ভব?
বর্তমানে ভারতীয় রেলের অধীনে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে রয়েছে বন্দে ভারত, শতাব্দী, রাজধানী, এক্সপ্রেস, মেল, প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন। এই বিপুল সংখ্যক ট্রেনের ভিড়ে একটি বিশেষ ট্রেন রয়েছে, যা অসম থেকে রাজস্থানের পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা শহর পর্যন্ত যায়। এই ট্রেনের নাম ও নম্বর এক, তবু তা তিনটি আলাদা স্টেশনে একসঙ্গে অবস্থান করতে পারে। কীভাবে এমন সম্ভব? (Representative Image: AI)
advertisement
3/7
এর ব্যাখ্যা লুকিয়ে রয়েছে ট্রেনের যাত্রাপথ ও সময়সীমায়। ভারতীয় রেলে মূলত তিন ধরনের ট্রেন চলে—একটি হচ্ছে লোকাল ট্রেন, যা কাছাকাছি শহরকে সংযুক্ত করে; দ্বিতীয় ধরণের ট্রেনগুলো একদিনের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে; তৃতীয় ধরণের ট্রেনের যাত্রা সময় ২৪ ঘণ্টার বেশি, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা ৪৮ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যায়।
এর ব্যাখ্যা লুকিয়ে রয়েছে ট্রেনের যাত্রাপথ ও সময়সীমায়। ভারতীয় রেলে মূলত তিন ধরনের ট্রেন চলে—একটি হচ্ছে লোকাল ট্রেন, যা কাছাকাছি শহরকে সংযুক্ত করে; দ্বিতীয় ধরণের ট্রেনগুলো একদিনের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে; তৃতীয় ধরণের ট্রেনের যাত্রা সময় ২৪ ঘণ্টার বেশি, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা ৪৮ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যায়। (Representative Image: AI)
advertisement
4/7
এই দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়া ট্রেনগুলির জন্য রেলকে একাধিক রেক বা কোচের সেট রাখতে হয়, কারণ একটি রেক যখন গন্তব্যে পৌঁছায়, তখন পরবর্তী যাত্রার জন্য আরও রেক চালু রাখতে হয়। ফলে এক ট্রেনের নামে ও নম্বরে একাধিক রেক রাস্তায় চলতে পারে—একই সময়ে।
এই দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়া ট্রেনগুলির জন্য রেলকে একাধিক রেক বা কোচের সেট রাখতে হয়, কারণ একটি রেক যখন গন্তব্যে পৌঁছায়, তখন পরবর্তী যাত্রার জন্য আরও রেক চালু রাখতে হয়। ফলে এক ট্রেনের নামে ও নম্বরে একাধিক রেক রাস্তায় চলতে পারে—একই সময়ে। (Representative Image: AI)
advertisement
5/7
যেমন ধরুন, ডিব্রুগড় থেকে লালগড় পর্যন্ত চলা আবধ-আসাম এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ১৫৯০৯/১৫৯১০)। এটি প্রতিদিন প্রায় ৩১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। পুরো যাত্রা শেষ করতে এই ট্রেনের সময় লাগে প্রায় চার দিন। ফলে এই ট্রেন চালাতে ভারতীয় রেলের প্রয়োজন পড়ে সাতটি রেকের—তিনটি করে দুটি দিক থেকে, ও একটি রিজার্ভ।
যেমন ধরুন, ডিব্রুগড় থেকে লালগড় পর্যন্ত চলা আবধ-আসাম এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ১৫৯০৯/১৫৯১০)। এটি প্রতিদিন প্রায় ৩১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। পুরো যাত্রা শেষ করতে এই ট্রেনের সময় লাগে প্রায় চার দিন। ফলে এই ট্রেন চালাতে ভারতীয় রেলের প্রয়োজন পড়ে সাতটি রেকের—তিনটি করে দুটি দিক থেকে, ও একটি রিজার্ভ। (Representative Image: AI)
advertisement
6/7
এই ট্রেনটির একটি রেক ডিব্রুগড় থেকে সকাল ১০.২০-এ ছাড়ে। দ্বিতীয়টি, যা একদিন আগে ডিব্রুগড় থেকে ছাড়ে, সেই সময় বিহারের কটিহার জংশনে অবস্থান করে (সকাল ১০.৪৫-এ)। তৃতীয়টি, যা ডিব্রুগড় থেকে দুই দিন আগে ছাড়ে, তখন উত্তরপ্রদেশের বেরেলি স্টেশনে থাকে (সকাল ১০.৩৮-এ)। অর্থাৎ একই ট্রেন, কিন্তু আলাদা তিনটি দিনে ছেড়ে আসা তিনটি রেক, একই সময়ে তিনটি আলাদা স্টেশনে অবস্থান করে।
এই ট্রেনটির একটি রেক ডিব্রুগড় থেকে সকাল ১০.২০-এ ছাড়ে। দ্বিতীয়টি, যা একদিন আগে ডিব্রুগড় থেকে ছাড়ে, সেই সময় বিহারের কটিহার জংশনে অবস্থান করে (সকাল ১০.৪৫-এ)। তৃতীয়টি, যা ডিব্রুগড় থেকে দুই দিন আগে ছাড়ে, তখন উত্তরপ্রদেশের বেরেলি স্টেশনে থাকে (সকাল ১০.৩৮-এ)। অর্থাৎ একই ট্রেন, কিন্তু আলাদা তিনটি দিনে ছেড়ে আসা তিনটি রেক, একই সময়ে তিনটি আলাদা স্টেশনে অবস্থান করে। (Representative Image: AI)
advertisement
7/7
এই ঘটনাটিকে ‘ম্যাজিক’ মনে হলেও, এর ভিতর রয়েছে নিখুঁত সময়নির্ধারণ, রেলওয়ের কর্মীদের অসামান্য পরিকল্পনা ও কঠোর নিয়মাবলী। এতবড় ব্যবস্থাকে প্রতিদিন কার্যকর রাখা ভারতীয় রেলের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
এই ঘটনাটিকে ‘ম্যাজিক’ মনে হলেও, এর ভিতর রয়েছে নিখুঁত সময়নির্ধারণ, রেলওয়ের কর্মীদের অসামান্য পরিকল্পনা ও কঠোর নিয়মাবলী। এত বড় ব্যবস্থাকে প্রতিদিন কার্যকর রাখা ভারতীয় রেলের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। (Representative Image: AI)
advertisement
advertisement
advertisement