এগিয়ে বাংলা: ইতি পড়েনি পুতুল নাচের কথায়, সরকারি পরিচয়পত্র পেয়েছেন শিল্পীরা
Last Updated:
আঙুলের কারসাজিতে সুতো নাচিয়ে যে শিল্পীরা মন ভোলাতেন গ্রামবাংলার, তাঁদের কথা ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। পুতুল নাচ শিল্পীরা পেয়েছেন পরিচয়পত্র, মাসিক ভাতা। নদিয়ায় পুতুল নাচের কথায় ইতি টানতে দেয়নি রাজ্য সরকার।
#নদিয়া: মঞ্চের আলো-আঁধারি। সংলাপ আর শব্দের আস্ফালনে ধীরে ধীরে জীবন্ত হয়ে ওঠে চরিত্রগুলো। কোনও এক অদৃশ্য সুতোর বুননে ঠাসা এক একটা পৌরাণিক বা গ্রামীণ গল্প। আঙুলের কারসাজিতে সুতো নাচিয়ে যে শিল্পীরা মন ভোলাতেন গ্রামবাংলার, তাঁদের কথা ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। পুতুল নাচ শিল্পীরা পেয়েছেন পরিচয়পত্র, মাসিক ভাতা। নদিয়ায় পুতুল নাচের কথায় ইতি টানতে দেয়নি রাজ্য সরকার।
আমের মুকুল ধরে। গ্রামবাংলার শান্ত রাস্তায় আপন খেয়ালে ছুটে যায় খুদেরা। কোথাও যেন জানান দেয়, ঘুরছে কালের আবর্ত। অদৃশ্য সুতোর টানে ঘুরে চলে জীবন। ঠিক যেমন সুতোয় বেঁধে পুতুলদের নাচিয়ে চলেন শিল্পীরা। অালোয় নয়, অন্ধকারে থেকেই।
নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের মুড়াগাছা কলোনি, বরবরিয়া-সহ সংলগ্ন এলাকায় থাকেন পুতুলনাচ শিল্পীরা। রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও কদর পেয়েছেন এঁরা। তবে একসময় সময়ের সুতোটা ছিঁড়েছিল। টিভির দৌলতে হারিয়ে যাচ্ছিল পুতুলনাচ। সুতো জুড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পীরা পেয়েছেন সরকারি পরিচয়পত্র। মাসিক এক হাজার টাকা ও চারটি প্রদর্শনীও পাচ্ছেন নেপথ্যের কারিগররা।
advertisement
advertisement
এখন হাতে গোনা বাইশ থেকে তেইশটি পুতুল নাচের দল আছে। শিল্পীদের এলাকার উন্নয়নও করেছে রাজ্য সরকার। বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না, কমলার বনবাস, ভক্ত প্রহ্লাদের পালার শিল্পীরা আলোয় ফিরেছেন। ইতি পড়েনি পুতুল নাচের কথায়।
Location :
First Published :
March 25, 2018 11:16 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
এগিয়ে বাংলা: ইতি পড়েনি পুতুল নাচের কথায়, সরকারি পরিচয়পত্র পেয়েছেন শিল্পীরা