বিধানসভায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘প্লাস্টিক চাল’ নয়, আসলে হয় ‘ফর্টিফায়েড রাইস’৷ কিন্তু সেটাই বা কী?
‘ফর্টিফিকেশন স্কিম’ অনুযায়ী প্রথমে ভাঙা চালকে ভেঙে গুঁড়িয়ে নেওয়া হয়৷ তারপর তাতে মেশানো হয় ভিটামিন বি১২ এবং মিনারেলস৷
তারপর মেশিনের সাহায্যে সেই চালের গুঁড়ির মিশ্রণকে চালের আকার দেওয়া হয়৷ তারপর..
এই ভাবে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি ‘ফর্টিফায়েড রাইস’ তারপর সাধারণ চালের সঙ্গে 1:100 অনুপাতে মিশিয়ে সরবরাহ করা হয়।
এর ফলে কেজি প্রতি চালের দাম প্রায় ৫০ পয়সা করে কম পড়ে।
Food Safety and Standards Authority of India-র মতে, সারা বিশ্বেই বর্তমানে এই ধরনের চাল ব্যবহার হচ্ছে৷
এই চালে অতিরিক্ত আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ থাকায় তা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়, অ্যানিমিয়া রোধে সহায়ক৷
বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য বলছেন, এই ‘ফর্টিফায়েড রাইস’ বা চলতি ভাষায় ‘প্লাস্টিকের চাল’ নিয়মিত খেলে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
এই চালে আলাদা করে যোগ করা আয়রন মানব শরীরে ফেরিটিনের পরিমাণ বাড়ায়৷ এর ফলে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে দ্রুত আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে৷