আয়কর রিটার্ন একটি ফর্ম। এতে চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীরা বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব দেন।
করদাতার ধরন এবং ফাইল করার পদ্ধতির উপর নির্ভর করে আইটিআর ফাইল করার শেষ তারিখ পরিবর্তিত হয়।
জরিমানা এবং অন্যান্য আইনি পরিণতি এড়াতে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
শুধু তাই নয়, সঠিক এবং সময়মত আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য একজন কর পেশাদারের সহায়তা নেওয়া বা ট্যাক্স ফাইলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়।
আয়কর রিটার্নের মাধ্যমেই সরকার কোনও ব্যক্তির আয় ট্র্যাক করতে পারে। পাশাপাশি কেউ ন্যায্যভাবে তার কর দিচ্ছে কি না সেটাও নিশ্চিত করে।
নাগরিকদের দেওয়া আয়কর থেকেই দেশের অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ করে সরকার।
আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা উচিত। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
আয়, বিনিয়োগ এবং ব্যয় সম্পর্কিত সমস্ত নথি হাতে রাখতে হবে। যেমন ফর্ম ১৬, বেতন স্লিপ, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, টিডিএস শংসাপত্র, বিনিয়োগের প্রমাণ এবং বিল।
কোথা থেকে আয় করছেন বা আয়ের উৎসগুলো অবশ্যই জানাতে হবে।
আয় এবং আয়ের উৎসের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শ্রেণীর করদাতাদের জন্য বিভিন্ন আইটিআর ফর্ম রয়েছে।
আয় থেকে সঠিক পরিমাণ কেটে নেওয়া হয়েছে এবং সরকারের কাছে জমা করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে টিডিএস-এর বিবরণ যাচাই করে নেওয়া উচিত।
নিশ্চিত করতে হবে আয়কর আইনের বিভিন্ন ধারা যেমন ধারা ৮০ সি, ৮০ ডি, ৮০ জি ইত্যাদির আওতায় উপলব্ধ সমস্ত ছাড় দাবি করা হয়েছে।
মোট আয় থেকে সমস্ত ডিডাকশনের পর কর লায়াবিলিটি গণনা করতে হবে।
মাথায় রাখতে হবে, আইটিআর প্রক্রিয়াকরণের জন্য যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক।
রিটার্ন দাখিল করার প্রমাণ হিসেবে ফাইল করা আইটিআরের একটি কপি রাখা গুরুত্বপূর্ণ।