দক্ষিণ ২৪ পরগনা:তার এক হাতে অটো স্টিয়ারিং আর অন্য দিকে বিশ্ব রেকর্ড করার অদম্য ইচ্ছা। দক্ষিণ 24 পরগনার সরিষার উত্তর কামারপুর লস্কর পাড়া এলাকার বাসিন্দা রিজুয়ান লস্কর। পেশার সূত্রে তিনি একজন অটোচালক। সংসারের দু'বেলা দু'মুঠো অন্নের সংস্থান করতে সকাল থেকে রাত এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত যাত্রী নিয়ে ছুটে বেড়াতে হয় তাকে। আমফানের সময় মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও হারিয়েছেন তিনি। ভাঙাচোরা একরত্তি ঘরে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ছোট্ট সংসার রিজুওয়ানের। ছোট থেকে অদ্ভুত ইচ্ছে ছিল তার, মাছেরা যেমন ফুলকার সাহায্যে জলের নিচে চলে বেড়ায় তিনিও নাকি এইভাবে জলের নিচে থাকতে চান ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন আর তারপর থেকেই পাড়ার পুকুরেই শুরু হয় সেই চেষ্টা।
১১ বছর বয়স থেকেই রিজুওয়ান কখনো পায়ে ইট বেধে আবার কখনোবা পুকুরের পাকের নিচে জলের তলায় ডুবে দীর্ঘক্ষন থাকার চেষ্টা করত। তবে প্রথমে প্রথমে ১ থেকে ২ মিনিট ডুবে থাকতে পারলেও দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এখন নাকি তিনি একঘন্টা দুঘন্টা আবার কখনো কখনো সারাদিন ও জলের নিচে ডুবে থাকতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই এই কর্মকাণ্ড দেখে প্রথমে বাবা-মা এবং তারপরে সংসার জীবনে প্রবেশ করার পর স্ত্রী বহুবার বারণ করেছে তাকে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। রিজওয়ান এর বিশ্ব রেকর্ড করার স্বপ্ন তাকে আরো বেশি করে সামনের দিকে এগিয়ে দিয়েছে। প্রথমে পরিবারের লোকজন ভয় পেলেও পরে বেশ ভালই লাগতে শুরু করে রিজওয়ানের এই দক্ষতা। পাড়ার বহু মানুষই এখন ভিড় জমায় তার এই ঘন্টার পর ঘন্টা জলে ডুবে থাকা দেখতে। এখন এই অধ্যাবসায় কে সামনে রেখেই গিনিস বুকে নাম তোলার দৌড়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রিজুওয়ান। তবে আর্থিক সামর্থ্যই এখন প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে রিজওয়ানুর লস্করের।